|
|
|
|
বিনয় তামাং ধরা পড়তেই তপ্ত পাহাড় |
রেজা প্রধান • দার্জিলিং
কিশোর সাহা • শিলিগুড়ি |
রাজ্যপালের মধ্যস্থতায় আলোচনার দরজা খুলে মুখরক্ষার পথ খুঁজছিলেন বিমল গুরুঙ্গ। বুধবার বিকেলে ফেসবুকে সে কথাই লিখেছিলেন তিনি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য প্রশাসন স্পষ্ট করে দিল, তারা কঠোর অবস্থানে অনড় থাকছে। বৃহস্পতিবার ভোরে পুরনো মামলায় গ্রেফতার করা হল মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা গুরুঙ্গের ডান হাত বলে পরিচিত বিনয় তামাংকে। যার জেরে কাল, শনিবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পাহাড় বনধের ডাক দেন গুরুঙ্গ। আর বিনয় তামাং-সহ মোর্চার বন্দি নেতারা জানিয়ে দিলেন, ওই দিন থেকে তাঁরা জেলেই আমরণ অনশনে বসবেন। এই অবস্থায় আলোচনার সম্ভাবনা আর কতটা রইল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বিশেষ করে রাজ্যপাল এ দিন কলকাতায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বাংলা ভাগ সংক্রান্ত কোনও আলোচনায় তিনি রাজি নন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়ে দিয়েছেন, পাহাড়ের মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য রাজ্যের তরফে যা করণীয়, তা করা হবে। সব মিলিয়ে, দার্জিলিং পাহাড়ের আকাশে ফের অনিশ্চয়তা এবং আরও অশান্তির মেঘ। এ দিন বিনয় তামাংকে ধরার মাধ্যমে সরাসরি মোর্চা শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করল প্রশাসন। এর ফলে পাহাড়ের প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটাও এখন প্রশ্ন। অনেকেই বলছেন, সেটা মমতার সরকারের সামনে বড় পরীক্ষাও। |
|
দার্জিলিঙে চকবাজারের মোটর স্ট্যান্ডে বিমল গুরুঙ্গের সভা। ছবি: রেজা প্রধান। |
মোর্চার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ‘রাস্তায় নামবে জনতা’ স্লোগানে পাহাড় অচল রাখার কর্মসূচি আজ, শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা। এর পরে ২৬ অগস্ট পর্যন্ত বিক্ষোভ, মশাল মিছিল, মানববন্ধন-এর মতো নানা কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছিল মোর্চা। ইতিমধ্যেই লেপচা সম্প্রদায়ের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সেপ্টেম্বরের গোড়ায় দার্জিলিঙে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই পাহাড়বাসীদের অনেকে ভেবেছিলেন, পরিস্থিতি বদলাবে। অন্তত পুজোর আগে কিছুটা স্বাভাবিক হবে পাহাড়।
কিন্তু ভোরে কালিম্পং থানার পুলিশ সিকিমের রেনক থেকে বিনয় তামাং গ্রেফতার হওয়ার পরে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। চারটি পুরনো মামলা রয়েছে বিনয়বাবুর বিরুদ্ধে। গত ফেব্রুয়ারিতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব কালিম্পঙে গেলে তাঁর গাড়িতে হামলা হয়। সেই মামলায় বিনয়বাবুর নাম রয়েছে। এ ছাড়া, শিপচু’তে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মামলায় নাম রয়েছে তাঁর। কালিম্পং আদালতে হাজির করানো হলে তাঁকে এ দিন ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। বিনয় তামাঙের গ্রেফতারের খবর পেয়ে সাতসকালে মোর্চা সভাপতি দলীয় অফিসে বৈঠকে বসেন। মোর্চার অন্দরের খবর, সেখানে দলের একাংশ আপাতত বনধ না ডেকে মোর্চা নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারি বন্ধ করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধের পক্ষে মত দেন। কারণ, হাইকোর্ট বনধ বেআইনি বলে ঘোষণা করে দিয়েছে। মোর্চার বনধ ভাঙতে এর পরে জোর খাটাতে পারে রাজ্য। কিন্তু দলে কট্টরপন্থী ও গুরুঙ্গের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত কয়েক জন জানিয়ে দেন, বিনয়কে গ্রেফতারের পরে সরকারকে পাল্টা চাপ দিতে ফের বনধের রাস্তাতেই যাওয়া উচিত। আগামী মাসের গোড়ায় লেপচা সম্প্রদায়ের আমন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী যে দার্জিলিং আসছেন, তা নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হয়। দলের ৭২১ জন নেতা-কর্মী গ্রেফতারের পরেও যদি পাহাড়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে এবং মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ভিড় উপচে পড়ে, তা হলে মোর্চার ভাবমূর্তি কী হবে সেই প্রশ্নও তোলেন কয়েক জন নেতা। এর পরেই সভায় লাগাতার বনধ-এ যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে মোর্চা সূত্রের খবর। |
|
বনধে সুনসান কালিম্পং। —নিজস্ব চিত্র |
বৈঠক শেষ হওয়ার পরে দুপুরে গুরুঙ্গ দার্জিলিঙের চকবাজারে এক জনসভা করেন। সেখানে তিনি ঘোষণা করেন, “আমাদের কর্মীদের গ্রেফতার অভিযান বন্ধ না-হওয়া পর্যন্ত পাহাড়ে বনধ চলবে। শনিবার থেকে বনধ হবে। বনধ থাকলে দীর্ঘদিন হাট-বাজার বন্ধ থাকবে। তাই স্থানীয় ভাবে যে খাদ্যশস্য, শাক-সব্জি উৎপাদন হয়, তা দিয়ে কাজ চালাতে হবে।” মোর্চা সভাপতির বিরুদ্ধেও একাধিক পুরনো মামলা রয়েছে। তাঁর নিজের মনেও আশঙ্কা রয়েছে, যে কোনও সময় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে। এই প্রসঙ্গ তুলে এ দিন গুরুঙ্গের দাবি, “আমাকে কেউ গ্রেফতার করতে এলে আমি পালাব না। আমাদের অন্য নেতা-কর্মীরাও কেউ পালাবেন না। কারণ আমরা গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে লড়ছি। চোর-ডাকাত নই। তা ছাড়া এক জন নেতাকে ধরা হলে এলাকার অন্য জন নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসবেন।” সিআরপি’কে সামনে রেখে পুলিশ তল্লাশিতে গেলে দলের নেতা-সমর্থকদের রাস্তায় বার হয়ে বিক্ষোভ দেখানোর নির্দেশও দিয়েছেন গুরুঙ্গ। পাহাড়ের যে সব যুবক-যুবতী বর্তমান সরকারের আমলে ‘গ্রামীণ পুলিশ’ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁদের প্রতি গুরুঙ্গর সতর্কবার্তা, “মনে রাখবেন, গোর্খাল্যান্ডের আন্দোলন সফল হলে আপনারাও উপকৃত হবেন। কাজেই পুলিশকে ঘরদোর চিনতে সাহায্য করবেন না।” বিকেলে আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে বিনয় তামাং বলেন, “আমরা আলাদা গোর্খাল্যান্ডের জন্য আন্দোলন করছি। জেলে গিয়েও অনশনের মাধ্যমে আন্দোলন জারি রাখব।” এর আগেও জিটিএ-র ১১ জন সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। তা হলে বিনয় তামাং গ্রেফতারের পরে গুরুঙ্গ হঠাৎ কেন এতটা সুর চড়ালেন?
মোর্চার অন্দরের খবর, দলের আন্দোলনে লোকজন জড়ো করা, অর্থ সংগ্রহ-সহ নানা ব্যাপার সামলানোর মূল দায়িত্ব বিনয়ের উপরে ছিল। প্রতিবেশী রাজ্য সিকিমে মোর্চার যে সমর্থকরা রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতেন বিনয়। দল সূত্রেই দাবি করা হয়েছে, গুরুঙ্গ ভেবেছিলেন, বিনয় তামাঙের মতো প্রথম সারির নেতাদের ধরার ব্যাপারে অন্তত রাজ্য সরকার এখনই পদক্ষেপ করবে না। বাস্তবে হল ঠিক উল্টো। এখন মোর্চার মধ্যেই আশঙ্কা, গুরুঙ্গ-সহ আরও বেশ কয়েক জন প্রথম সারির নেতাকে গ্রেফতারেও সবুজ সঙ্কেত দিতে পারে রাজ্য। গুরুঙ্গ ছাড়াও তাঁর স্ত্রী আশা দেবী, রোশন গিরি, জিএলপি-র দায়িত্বপ্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল রমেশ আলে, দেবেন শর্মা বিরুদ্ধেও পুরানো মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। ফলে, তাঁদের গ্রেফতারের আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছেন না মোর্চা নেতারাও। মোর্চা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দেবেনবাবু ও রমেশ আলেকে পুলিশ খুঁজছে। সেই সঙ্গে নারী মোর্চার সভানেত্রী আশা গুরুঙ্গ-সহ কয়েক জনকেও ইদানীং প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। |
বিমল গুরুঙ্গ
মোর্চা প্রধান |
• রাজ্য গ্রেফতারি বন্ধ করে ধৃতদের মুক্তির ব্যবস্থা না-করা পর্যন্ত বন্ধ চলবে।
• আমাকে যদি কেউ গ্রেফতার করতে আসে, পালাব না।
• রাজ্য সরকারের সঙ্গে বসব না। তবে রাজ্যপাল ডাকলে আলোচনা হতে পারে। |
|
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মুখ্যমন্ত্রী |
জিটিএ-র মাধ্যমে পুলিশ ছাড়া কার্যত সব দফতরই দেওয়া হয়েছে।
তবু কেন দিনের পর দিন পাহাড় অচল থাকবে?
মানুষের সাংবিধানিক অধিকার বিপন্ন হলে সরকার পদক্ষেপ করবেই। |
এম কে নারায়ণন
রাজ্যপাল |
পাহাড় নিয়ে আমার হস্তক্ষেপ দরকার মনে হলে ওঁরা (গুরুঙ্গরা)
আমাকে সেটা বলতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গের বিস্তার যে সমুদ্র
থেকে পাহাড় পর্যন্ত, সেটা আমি অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছি। |
|
মমতাও এ দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, ধরপাকড়ের মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে চাইছে প্রশাসন। তিনি বলেছেন, “জিটিএ-এর হাতে পুলিশ ছাড়া কার্যত সব দফতরই দেওয়া হয়েছে। তবু কেন দিনের পর দিন পাহাড় অচল থাকবে? এতে পাহাড়ের মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরা স্কুল-কলেজে যেতে না-পেরে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে পড়েছে। এ ভাবে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার বিপন্ন হলে সরকারকে পদক্ষেপ করতেই হবে। পাহাড়ে শান্তি, সম্প্রীতি রেখে উন্নয়নের গতি বাড়াতে রাজ্য সরকার বদ্ধপরিকর।”
বিরোধীরা অবশ্য মনে করেন, আলাপ-আলোচনার মধ্যেই পাহাড় জট খোলা সম্ভব। এ দিন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনকে চিঠি দিয়ে সেই লক্ষ্যে তাঁর মধ্যস্থতাই চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। পাহাড় নিয়ে সর্বদল বৈঠকের দাবিও করেন তিনি। পরে বলেন, “দার্জিলিঙের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছি। তাঁর বিশেষ ভূমিকার দরকার।” জিটিএ সদস্যদের যে ভাবে পুরনো মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে, তা পাহাড়ে স্বাভাবিকতা ফেরানোর পথে বাধা বলেও অভিযোগ তাঁর। সূর্যবাবুর কথায়, “সরকার যে ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা প্ররোচনামূলক। বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন চাই। কোনও প্ররোচনা যেন না হয়। কী ভাবে শান্তি আনা যায়, তা দেখতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে যাচ্ছেন। এটা একটা সুযোগ।” মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে দুর্যোগ কবলিত পাহাড়ে রাজ্য প্রশাসন এবং জিটিএ হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করলে পরস্পরের প্রতি আস্থা ফিরতে পারে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন সূর্যবাবু।
রাজ্যপাল কিন্তু এ দিন স্পষ্ট বলেছেন, “পাহাড় নিয়ে আমার হস্তক্ষেপ দরকার মনে হলে ওঁরা (গুরুঙ্গরা) সেটা বলতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গের বিস্তার যে সমুদ্র থেকে পাহাড় পর্যন্ত, সেটা আমি অবশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছি।” অর্থাৎ, গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে বাংলা ভাগ সংক্রান্ত কোনও আলোচনায় যে তাঁর সায় নেই, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
শাসক দলের নেতৃত্ব অবশ্য মনে করেন, দার্জিলিঙের সমস্যা মিটবেই। এ দিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, “পাহাড়ের মানুষ দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চাইছে। তাই রাজ্যপালের মাধ্যমে তারা সরকারের সঙ্গে আলোচনাতেও বসতে চাইছে।”
হাইকোর্টের বনধ-বিরোধী রায়ের কথা মাথায় রেখে রাজ্য যে কঠোর হবে, তার ইঙ্গিত দিয়ে এ দিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে বনধ, মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করা দেখে সরকার চুপ করে বসে থাকতে পারে না। দেশের যে আইনি ব্যবস্থা রয়েছে, তা প্রয়োগ করা হবে।” কী ভাবে? তাঁর বক্তব্য, “রাস্তা-বনধ করলে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে জঙ্গলমহলে, কলকাতায় বা শিলিগুড়িতে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, পাহাড়েও তাই করা হবে।” একই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “আমরা পাহাড়বাসীর পাশে থাকব। সাহায্য পৌঁছতেও যাব।”
প্রশাসন সূত্রে খবর, পাহাড়কে সচল রাখতে তারা একাধিক পদক্ষেপ করতে চলেছে। এই এলাকায় খাবার বণ্টন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে এর মধ্যেই তৎপরতা তুঙ্গে। রেশন দোকান খোলা না হলেও যাতে খাদ্য সরবরাহ চালু থাকে, সে জন্য ইতিমধ্যেই ১১টি বিশেষ কেন্দ্র থেকে রেশন বিলি করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই তা বাড়িয়ে ৩০টি করা হবে। তা ছাড়া, যাঁদের রেশন কার্ড নেই তাঁদের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছে শাসকদল তৃণমূল।
আজ, শুক্রবার থেকে পাহাড়ের দুই জায়গায়, সুখিয়াপোখরি এবং মিরিকে দলের তরফে কর্মীরা চাল, আটা সরবরাহের ব্যবস্থা করবেন।
একই সঙ্গে স্কুলগুলিকেও দ্রুত খুলতে চাইছে সরকার।
এ সবের মাধ্যমে সরকার যে আসন্ন পুজোর মরসুমে পাহাড়কে ফের স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে চাইছেন, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন গৌতমবাবু। জানিয়েছেন, পুজোর মরসুমে যাঁরা পাহাড়ে আসবেন ভেবেছিলেন, তাঁরা বুকিং বাতিল করবেন না। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম এখানে বাস চালাচ্ছে। প্রচুর যাত্রী যাতায়াত করছেন। বাসের সংখ্যা বাড়ানোর কথাও ভাবা হয়েছে। |
পুরনো খবর: সমস্যা মেটাতে কথা চান গুরুঙ্গ |
|
|
|
|
|