পুরভোটে আধাসেনা মোতায়েনের কথা উঠলই না বৈঠকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে ১২টি পুরসভার ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই বলে জানিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাদের বৈঠকে ওই ভোটে আধাসেনা মোতায়েনের বিষয়টি উঠলই না। বৃহস্পতিবার বৈঠকের পরে কমিশনের অফিসারদের অনুমান, পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েনের সম্ভাবনা আর থাকছে না।
আগামী ২১ সেপ্টেম্বর রাজ্যের ১২টি পুরসভায় নির্বাচনের জন্য অগস্টের প্রথম সপ্তাহে ৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ১৯ অগস্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের সঙ্গে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল নপরাজিত মুখোপাধ্যায়ের বৈঠক পুর্ব নির্ধারিত ছিল। সেখানেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ নিয়ে আলোচনা হওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ডিজি সে-দিন অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় কমিশনের অফিসে যেতে পারেননি। পরিবর্তে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিবের সঙ্গে কথা বলেন আইজি (আইনশৃঙ্খলা) অনুজ শর্মা এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের ওএসডি নীরজনয়ন পাণ্ডে।
সেই বৈঠকের পরে নির্বাচন কমিশন সূত্রে বলা হয়েছিল, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ডিজি-র সঙ্গে বৈঠকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু এ দিন কমিশনের অফিসে প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকে এক বারের জন্যও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের বিষয়টি ওঠেনি। বরং রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র কর্মী এবং লাঠিধারীদের দিয়েই পুরভোট করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকের পরে কমিশনের সচিব তাপস রায় বলেন, “এ দিনের আলোচনায় পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। গত সোমবার রাজ্য পুলিশের দুই কর্তার সঙ্গে আলোচনায় বুথ-প্রতি রাজ্য পুলিশ মোতায়েনের জন্য যে-প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তা একটু সংশোধন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কমিশনের প্রস্তাব রাজ্য সরকার মেনেও নিয়েছে।”
কমিশনের নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী যে-সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তিনটি বা তার কম বুথ থাকবে, সেখানে চার জন সশস্ত্র পুলিশ এবং চার জন লাঠিধারী পুলিশ থাকবে। যে-সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে তিনের বেশি বুথ থাকবে, সেখানে ওই আট জনের সঙ্গে এক জন এসআই বা এএসআই-কে মোতায়েন করা হবে। প্রচার পর্বে অতিস্পর্শকাতর বর্ধমান, চাকদহ, পানিহাটি ও হাবরা পুরসভায় এক কোম্পানি করে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্পর্শকাতর ডালখোলা, দুবরাজপুর ও গুসকরা পুরসভায় আধ কোম্পানি এবং বাকি পুরসভাগুলিতে এক সেকশন করে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ দিনের বৈঠকে বাইক-বাহিনী নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলে কমিশন। এ ব্যাপারে কমিশনকে নির্দিষ্ট নির্দেশ জারি করার প্রস্তাব দিয়েছেন রাজ্য সরকারের দুই কর্তা।
|