ভোজ্য তেলের কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিক্ষোভে সরব হলেন স্থায়ী, অস্থায়ী শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার হলদিয়ার সিটি সেন্টারে কারখানা চত্বরে তাঁরা বিক্ষোভে বসেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, বন্ধ কারখানা চালু করার ব্যাপারে কারখানা কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট উৎসাহী নয়। জুন মাস থেকে তাঁদের বেতনও বন্ধ হয়ে রয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি তাঁদের সংস্থা লোকসানে চলছে। তাই ওই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, সাড়ে চার বছর আগে অন্য এক ভোজ্য তেল প্রস্তুতকারী সংস্থার থেকে বর্তমান পরিচালক সংস্থা প্রকল্পটি কেনে। এর পর বছর দু’য়েক ভালভাবেই উৎপাদন হয়েছিল। তারপর কারখানাটি লোকসানের মুখে পড়ে দেড় বছর বন্ধ থাকে।
কয়েক মাস আগে ফের চালু হয় কারখানাটি। তবে বিশ্ব বাজারে কাঁচামালের দাম বাড়লে প্রতিযোগিতায় লোকসানের মুখে পড়তে হয় বলে দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষের। সম্প্রতি প্রকল্পের বিদ্যুৎ বিল জমা না দিলে বিদ্যুৎ বণ্টন দফতর কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ফলে উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভরত ৯৩ জন স্থায়ী ২১ জন অস্থায়ী শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানা কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়নি। কারখানার এক স্থায়ী শ্রমিকের কথায়, কারখানা চালু থাকলে আমরা কাজ করতাম। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ার পরেও কারখানা চালুর উদ্যোগ না থাকায় আমরা শঙ্কিত। পিএফ, ইএসআইয়ের টাকা জমা হচ্ছে না। এমনকী বকেয়া বেতনও পাচ্ছি না। বকেয়া চেয়ে এ দিন তাঁরা বিক্ষোভে সরব হন। কারখানার প্রকল্প প্রধান অশোককুমার জৈন বলেন, “প্রকল্প লোকসানে চলছে। আশা করি চেয়ারম্যান সমস্যা সমাধান করবেন।” |