ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের তিন আকর্ষণীয় মুখ। এবং সেই তিনকে ঘিরে বৃহস্পতিবারের আইবিএলে নানাবিধ ঘটনাবলী থাকল।
লিউ ড্যারেনকে অপ্রত্যাশিত হারিয়ে দিলেন গুরুসাই দত্ত। কয়েক মাস আগেও মালয়েশিয়ান বিশ্বের দশ নম্বর ছিলেন। অঘটন ঘটিয়ে তরুণ ভারতীয় বলেন “লিউকে ডিফেন্স করতে না দেওয়াটা আমার আজ সেরা সিদ্ধান্ত।” দু’ম্যাচ পর জয়ে ফেরার দিন পি ভি সিন্ধুর আবার মনে হচ্ছে, সতীর্থ ভারতীয়ের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক স্ট্র্যাটেজিতে ফেরাই অবশেষে কাজ দিয়েছে তাঁর সদ্য আইবিএল-জীবনে। এবং কোর্টের বাইরে জ্বালা গাট্টার কঠোর সমালোচনার জবাব দিলেন সাইনা নেহওয়াল। তাঁর দাবি ইন্দোনেশিয়ার ব্যাডমিন্টন কিংবদন্তি তৌফিক হিদায়েতকে নিয়ে তাঁর করা মন্তব্য বুঝতে অন্যদের ভুল হয়েছে। কখনওই তিনি নিজের আদর্শ প্লেয়ারকে ‘রিটায়ার্ড’ প্লেয়ার বলে অসম্মান করেননি। |
আইবিএলের সপ্তম দিনটা ‘সাইনার পাল্টা’র মতোই গুরুসাইয়ের দাপটে সরগরম। দিল্লি স্ম্যাশার্সের তারকা বিদেশিকে হারানোটা কী ভাবে সম্ভব হল? “দ্বিতীয় গেম যখন ২০-২০, তখন ঠিক করি নেটের কাছাকাছি রাখার চেষ্টা করতে হবে। যাতে লিউ কোনও সুযোগ না পায় ডিফেন্স করার। ওটাই কাজ দিয়েছে,” বলেন অভিভূত গুরুসাই। আইবিএলে জয়ের মুখ দেখার সিন্ধুকেও স্বস্তিতে দেখাচ্ছে। বলছেন, “অরুন্ধতী কিন্তু খুব ভাল খেলেছে। কিন্তু আমার আক্রমণাত্মক স্ট্র্যাটেজিতে ফিরে যাওয়াটা জিততে সাহায্য করেছে।”
অন্য দিকে, আইবিএলে সব ম্যাচ জিতলে কী হবে, দেশের ব্যাডমিন্টন ‘আইকন’-কে বেশি ব্যস্ত থাকতে হল সতীর্থ হায়দরাবাদির তীব্র সমালোচনার উত্তর খুঁজতে। হিদায়েতকে ‘রিটায়ার্ড’ প্লেয়ার বলে সাইনা অপমান করেছেন বলে অভিযোগ ছিল জ্বালার। যা নিয়ে সাইনার পাল্টা, “তৌফিক আমার কাছে পরিবারের সদস্যের মতো। আমি কী বলতে চেয়েছি, সেটা লোকে বুঝতে পারেনি। তৌফিককে অপমান করার প্রশ্নই নেই।”
|
আইবিএল স্কোরকার্ড |
১) হায়দরাবাদ হটশটস |
২) মুম্বই মাস্টার্স |
৪ টাইয়ে তিন জয়,
১৫ পয়েন্ট
সাইনা নেহওয়াল
৪ ম্যাচে ৪ জয়।
|
৪ টাইয়ে ২ জয়, ২ হার।
১৩ পয়েন্ট।
লি চং উই ২ ম্যাচে ২ জয়।
টিন বাউন ৩ ম্যাচে ১ জয়। |
৩) পুণে পিস্টনস |
তিন টাইয়ে ৯ পয়েন্ট।
জুলিয়েন শেঙ্ক
৩ ম্যাচে ২ জয়।
|
|
• চারে বঙ্গা বিটস (৭), দিল্লি স্ম্যাশার্স (৭)।
ছ’নম্বরে আওয়াধি ওয়ারিয়র্স (৩)।
• পিভি সিন্ধু (আওয়াধি ওয়ারিয়র্স)
৩ ম্যাচে ১ জয়। |
|
|
পুরনো খবর: তোপ দাগলেন জ্বালা
|