ধমারাঘাট দুর্ঘটনার পিছনে এক দিকে রেলের ভূমিকা ও অন্য দিকে বিহারের নীতীশ সরকারের গাফিলতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। বিহার সরকারের বিরুদ্ধে আঙুল তোলার জন্য আজ অধীরের ইস্তফা চেয়ে সরব হলেন জেডিইউ নেতৃত্ব। সংসদ চলাকালীন অধীর কেন আগে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন, সেই অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনার বিষয়েও ভাবছে নীতীশের দল।
সোমবার সকালে ধমারাঘাটে রাজ্যরানি এক্সপ্রেস পুণ্যার্থীদের পিষে দেওয়ার পরেই রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অধীর। তাঁর বক্তব্য ছিল, ওই দিন ওই সময়ে যে ধমারাঘাট স্টেশনে ভিড় হবে, সে বিষয়ে রাজ্য রেলকে কিছুই জানায়নি। অধীরের মতে, ফলে বিহার সরকারও দুর্ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। তা ছাড়া ওই এলাকায় নিয়মিত ভিত্তিতে ভিড় হওয়া সত্ত্বেও লালুপ্রসাদ, রামবিলাস পাসোয়ান বা নীতীশ কুমারের রেলমন্ত্রিত্বের সময় কেন ওই স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নতি করা হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অধীর। ক্ষুব্ধ নীতীশ গত কালই অধীরকে কটাক্ষ করে বলেন, “রেল প্রতিমন্ত্রী একেবারে নির্বোধের মতো মন্তব্য করেছেন।”
আজ এক ধাপ এগিয়ে অধীরের ইস্তফা দাবি করেন জেডিইউ নেতা কে সি ত্যাগী। তিনি বলেন, “রেল প্রতিমন্ত্রী গোটা দুর্ঘটনার দায় রাজ্য সরকারের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছেন। ওই ধরনের অবিবেচক মন্তব্যের জন্য কেন্দ্রের উচিত তাঁকে দ্রুত বরখাস্ত করা।” একই সঙ্গে ত্যাগী জানান, তাঁরা অধীরের বিরুদ্ধে অধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনার কথাও ভাবছেন। অধীর আজ পাল্টা বলেন, “আমি তো বোকা। তাই রেল প্রতিমন্ত্রীর পদ পেয়েছি। নীতীশ বুদ্ধিমান। তাই রেলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছিলেন।”
এ দিনই রেলের তরফে অধীরের বক্তব্য নিয়ে সব দায় সংবাদমাধ্যমের উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। পটনায় পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক অমিতাভ প্রভাকর জানিয়েছেন, ঘটনার পরে ধমারাঘাটে পৌঁছে রেল প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন: “তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তা হলে কাউকে দোষ দেবেন কী ভাবে?”
|