|
|
|
|
সোয়ানে লগ্নির কথা মনে নেই, দাবি অনিলের
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
টুজি মামলায় অবশেষে সাক্ষ্য দিলেন রিলায়্যান্স এডিএজি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান অনিল অম্বানী। সোয়ান টেলিকম বলে কোনও সংস্থায় বিনিয়োগের কথা মনে করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। সরকার পক্ষের সাক্ষী হলেও তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁকে পাল্টা জেরা (ক্রস এগজামিন) করেন সরকারি কৌঁসুলিরা।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, সোয়ান টেলিকম আদতে অনিলের রিলায়্যান্স টেলিকম লিমিটেডেরই নিয়ন্ত্রণাধীন। টুজি স্পেকট্রাম বণ্টনের সময়ে বাড়তি স্পেকট্রাম হাতাতে ওই সংস্থাকে ব্যবহার করা হয়েছে। আসলে সোয়ানের স্পেকট্রাম পাওয়ার যোগ্যতা নেই। এই অভিযোগে সোয়ান টেলিকমের প্রমোটার শাহিদ বালওয়া ও বিনোদ গোয়েন্কার পাশাপাশি টুজি মামলায় হাজতবাস হয়েছে রিলায়্যান্স টেলিকমের তিন কর্তারও।
বিশেষ আদালত
থেকে সাক্ষ্য দিয়ে
বেরোচ্ছেন অম্বানী।
ছবি: পি টি আই। |
সিবিআইয়ের মামলা আরও জোরদার করতেই অনিল ও তাঁর স্ত্রী টিনা অম্বানীর সাক্ষ্য প্রয়োজন বলে বিশেষ সিবিআই আদালতে জানিয়েছিলেন সরকারি কৌঁসুলিরা। গত মাসে অম্বানী দম্পতিকে সমন পাঠানো হয়। তখন অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় ছাড় দেওয়ার আর্জি জানান অম্বানীরা। সে আর্জি মঞ্জুর হয়। তাঁদের সাক্ষ্যদানের জন্য অগস্ট মাসের নতুন দিন স্থির হয়। মামলার এই পর্যায়ে অম্বানীদের সাক্ষ্যদানের যৌক্তিকতা নেই, এই মর্মেও বিশেষ আদালত ও সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁদের আইনজীবীরা। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। আজ অনিলের সাক্ষ্য ছিল। কাল টিনা সাক্ষ্য দেবেন।
আজ নির্ধারিত সময়ের আগেই কোর্টে পৌঁছে যান অনিল। তখন লোকে ভর্তি বিচারক ও পি সাইনির এজলাস। একেবারে শান্ত, স্থির ছিলেন রিলায়্যান্স এডিএজি গোষ্ঠীর কর্ণধার। ২০১১ সালে এই মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁকে জেরা করেছিল সিবিআই। তখন তিনি সিবিআইকে একটি নোটে কিছু তথ্য দিয়েছিলেন বলে দাবি সরকারি কৌঁসুলিদের।
আজ বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি ইউ ইউ ললিত সেই প্রসঙ্গ তুলতেই অম্বানী বলেন, “কোনও নোট সিবিআইকে দিইনি।” সঙ্গে সঙ্গে ললিত বলেন, “সাক্ষী নিজের আগের অবস্থান থেকে সরে যাচ্ছেন। তাঁকে জেরা করতে চাই।” অনুমতি দেন বিচারক সাইনি। অম্বানী জেরার জবাবে জানান, সোয়ান টেলিকম তাঁর গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। তাতে কোনও বিনিয়োগের কথাও তাঁর মনে নেই। রিলায়্যান্সের বিভিন্ন বৈঠকের কার্যবিবরণী অনিলকে দেখানো হয়। তিনি জানান, এ সব বৈঠকের কথাও তাঁর মনে নেই।
বেশ কয়েকটি কোম্পানির মাধ্যমে রিলায়্যান্স টেলিকম সোয়ানে বিনিয়োগ করেছিল বলে অভিযোগ। ওই সংস্থাগুলির কথাও তাঁর জানা নেই বলে জবাব দিয়েছেন অনিল। ২০১১ সালে সিবিআই দফতরে তাঁকে জেরা করা হলেও তা বিবৃতি হিসেবে নথিবদ্ধ করা হয়েছিল কি না তাও তাঁর মনে নেই বলে জানিয়েছেন অনিল।
অনিলের সাক্ষ্যের মধ্যেই বিচারক জানতে চান, চাপে পড়ে তিনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন কি না। অনিল বলেন, “আমার উপরে কোনও চাপ নেই। মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার ফলও আমি জানি।” বিচারক বলেন, “আপনি বড় বেশি ভুলে যাচ্ছেন। নিজের গোষ্ঠীর সংস্থাগুলির নামও মনে করতে না পারলে তা আপনার বিরুদ্ধে যেতে পারে।” প্রায় চার ঘণ্টা ধরে সাক্ষ্য দেন অনিল। নানা বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য টেলিকমমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা অবশ্য অস্বীকার করেননি তিনি।
আজই টুজি মামলায় করুণানিধির স্ত্রী দয়ালু আম্মালকে সাক্ষ্যদান থেকে ছাড়ের আর্জি নিয়ে শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। তাঁকে ছাড় দেওয়া হয়নি। তবে তিনি দিল্লির কোর্টে হাজিরা দেবেন না। চেন্নাইয়ে একটি কমিশন তাঁর সাক্ষ্য নেবে।
|
পুরনো খবর: টাটাকে ছাড়, টুজিতে দেখা হবে অনিল অম্বানীর ভূমিকা
|
|
|
|
|
|