টাটাকে ছাড়, টুজিতে দেখা হবে অনিল অম্বানীর ভূমিকা
টু-জি স্পেকট্রাম মামলায় টাটা গোষ্ঠী ও ভিডিওকনকে ‘ক্লিনচিট’ দিল সিবিআই। তবে এই কেলেঙ্কারিতে অনিল অম্বানীর ভূমিকা এ বার খতিয়ে দেখা হবে বলে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে তারা।
প্রবীণ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ কিছু দিন আগে অভিযোগ তুলেছিলেন যে সিবিআই অনিল অম্বানীর প্রকৃত ভূমিকা খতিয়ে দেখছে না। সেই প্রসঙ্গ টেনেই সিবিআইয়ের আইনজীবী আজ শীর্ষ আদালতকে জানান, তাঁরা ডেলফি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডকে সোয়ান টেলিকমের শেয়ার বিক্রির বিষয়টি তদন্ত করতে চান। এই শেয়ার বিক্রির ঘটনায় রিলায়্যান্স অনিল ধীরুভাই অম্বানী গ্রুপের (এডিএজি) চেয়ারম্যান তথা সিইও অনিল অম্বানী এবং সংস্থার অন্য কয়েক জন কর্তার ভূমিকা বিশেষ ভাবে খতিয়ে দেখা হবে।
তবে টাটা গোষ্ঠী প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজার থেকে কোনও সুবিধা নেয়নি বলে সিবিআই জানিয়েছে। স্পেকট্রাম লাইসেন্স পেতে টাটা গোষ্ঠী ডিএমকে নেতাদের পরিবারকে জমি উপহার দিয়েছিল বলে যে অভিযোগ উঠেছিল, তা-ও সত্যি নয়। ভিডিওকনের বিরুদ্ধেও এ পর্যন্ত দুর্নীতির কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থাটি।
দেশের ২২টি টেলিকম-এলাকার মধ্যে ১৩টিতেই ব্যবসার লাইসেন্স পেয়েছিল সোয়ান টেলিকম। সোয়ান টেলিকমের শেয়ার একটা সময়ে মাত্র ১৫ টাকা দরে বিক্রি করে দেওয়া হয় ডেলফি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডকে। কিন্তু কেন, তা স্পষ্ট নয়। তদন্তে সিবিআই জেনেছে, সোয়ান টেলিকমকে সামনে রেখে অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স টেলিকমিউনিকেশনসই পিছন থেকে গোটা বিষয়টি পরিচালনা করেছিল। অনিল অম্বানী ও তাঁর সংস্থার কর্তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখেই এই লেনদেনে কারা লাভবান হয়েছিল তা জানা যাবে বলে মনে করছে সিবিআই।
সোয়ানের দুই কর্তা শাহিদ উসমান বালওয়া এবং বিনোদ গোয়েঙ্কাকে টু-জি মামলায় আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ রাজাকে ২১৪ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। রাজাকে ফেব্রুয়ারিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
অম্বানীর এডিএজি সংস্থার গ্রেফতার হওয়া কর্তাদের মধ্যে রয়েছেন গ্রুপ এমডি গৌতম দোশি, সুরেন্দ্র পিপারা ও হরি নইয়ার। সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি জি এস সিঙ্ঘভি এবং এ কে গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চকে বেণুগোপাল জানিয়েছেন, দোশি, পিপারা ও নইয়ার তিন জনই আগে বলেছিলেন যে সংস্থার তরফে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরাই এখন বলছেন যে সংস্থার সিদ্ধান্তে তাঁদের কোনও ভূমিকা ছিল না। সে কারণেও সংস্থার প্রধান হিসেবে অনিল অম্বানীর ভূমিকা খতিয়ে দেখা জরুরি বলে মনে করছে সিবিআই।
এ দিকে, রিলায়্যান্স এডিএজি’র এক মুখপাত্র বলেছেন, “২০০৮ সালের জানুয়ারিতে টেলিকম লাইসেন্স থেকে রিলায়্যান্স টেলিকম কোনও ফায়দা লোটেনি।” পাশাপাশি ওই মুখপাত্র জানিয়েছেন, টু-জি কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া তাঁদের তিন কর্তা রাজসাক্ষী হবেন বলে যে কথা রটেছে তা একেবারেই ঠিক নয়। তাঁরা কেউই রাজসাক্ষী হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেননি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.