বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতার প্রায় অর্ধেক ডিজিটাল কেবল টিভি গ্রাহকের তথ্য-সহ আবেদনপত্র এমএসও-দের কাছে জমা পড়েনি। ট্রাই আগেই জানিয়েছে, ২৩ অগস্টের মধ্যে যে সব গ্রাহকের আবেদনপত্র জমা পড়বে না, তাঁদের পরিষেবা পরদিন, অর্থাৎ, শনিবার থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। সংশ্লিষ্ট শিল্পের হিসেবে, সেই সংখ্যাটা প্রায় ১৬ লক্ষ। মূলত রাজ্যের আপত্তিতে গোড়া থেকেই বারবার ধাক্কা খেয়েছে ডিজিটাল কেবল টিভি পরিষেবা চালুর প্রক্রিয়া। শেষ পর্যন্ত ফেব্রুয়ারিতে খাতায়-কলমে চালু হলেও অনেক জায়গাতেই গোটা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ছিল না। ট্রাই-এর নির্দেশ, গ্রাহকেরা কোন কোন চ্যানেল বা চ্যানেলের প্যাকেজ নিচ্ছেন, তা উল্লেখ করে পরিষেবার আবেদনপত্র ২৩ অগস্টের মধ্যে জমা দিতে হবে কেবল-অপারেটরদের। অপারেটরেরা তা এমএসও-দের কাছে পাঠাবেন।
সূত্রের খবর, এ দিন বিকেল পর্যন্ত কলকাতার মোট ৩২ লক্ষ গ্রাহকের মাত্র অর্ধেকের আবেদনপত্র জমা পড়েছে। সংশ্লিষ্ট শিল্পমহলের অবশ্য আশা, আজ, শুক্রবার সময়সীমা শেষের আগে ওই সংখ্যাটা আরও কিছুটা কমবে। কারণ শেষ মুহূর্তে বহু আবেদনপত্র জমা পড়ছে। যদিও প্রশ্ন উঠছে, তার পরেও যে বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের আবেদনপত্র জমা পড়বে না, তাঁদের কী হবে? সময়সীমা কি আরও পিছোবে? ট্রাই-এর সদস্য আর কে আর্নল্ড এবং মুখ্য উপদেষ্টা এন পরমেশ্বরনের সঙ্গে বহু বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
ট্রাই-এর নির্দেশে শনিবার থেকে ওই গ্রাহকদের পরিষেবা বন্ধ হওয়ার কথা। না হলে সংশ্লিষ্ট এমএসও এবং কেবল-অপারেটরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কলকাতায় এসে জানিয়েছিলেন ট্রাই-এর কর্তারা। যদিও গ্রাহকদের একাংশের অভিযোগ, তাঁরা আবেদনপত্র এবং চ্যানেলের দর জানতে পেরেছেন শেষ বেলায়। অনেকে এ দিন পর্যন্তও এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও এমএসও-দের পাল্টা দাবি, স্থানীয় কেবল-অপারেটরদের মাধ্যমে তাঁরা আবেদনপত্র বিলি করেছেন। কেউ বাদ পড়ার আশঙ্কায় টিভির পর্দায় বারবার গ্রাহকদের কেবল অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলা হয়েছে।
তবে এমএসও এবং কেবল-অপারেটরদের আশা, ট্রাই বা কেন্দ্র গ্রাহক স্বার্থে শনিবার থেকেই পরিষেবা বন্ধ না করে বাড়তি সময় দেবে। সে ক্ষেত্রে আর ক’দিন সময় পেলে বাকিদের আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজ শেষ করে ফেলা যাবে বলে তাদের দাবি। |
