কলকাতায় ডিজিটাল কেবল-টিভি পরিষেবার গ্রাহকদের একটা বড় অংশ ভোগান্তির শিকার। অথচ তাঁদের সুরাহার পথ দেখাতে কার্যত ব্যর্থ নজরদারি সংস্থা টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ট্রাই)। অথচ আধুনিক প্রযুক্তির এই পরিষেবা চালুর মূল লক্ষ্যই হল গ্রাহকদের উন্নত পরিষেবা দেওয়া।
দিল্লি-মুম্বইয়ের পরে কলকাতায়ও এই পরিষেবা চালু হয়েছে। কিন্তু গ্রাহকদের অভিযোগ, অনেক জায়গাতেই সুষ্ঠু পরিষেবা মিলছে না। হঠাৎই টিভি-র পর্দা থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে একের পর এক চ্যানেল। অথচ পুরো মাসুলই গুনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। অভিযোগ, সরকারি স্তরে কোনও হেলদোল নেই। নেই নজরদারিও।
কেন এত নজরদারির অভাব? এই পরিষেবার পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে দিল্লি থেকে আসা ট্রাই-এর সদস্য আর কে আর্নল্ড, উপদেষ্টা এন পরমেশ্বরন শুক্রবার স্পষ্ট জবাব দিতে পারেননি। তাঁদের দাবি, এটা কোনও ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে ঘটে থাকলে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতেই যেতে হবে। তা হলে তাঁদের ভূমিকা কী? ট্রাই-এর কর্তারা জানান, একসঙ্গে অনেকের ক্ষেত্রে এ ঘটনা ঘটলে তাঁরা হস্তক্ষেপ করতে পারেন। যদিও সম্প্রতি কয়েকটি খেলার চ্যানেল কলকাতার অধিকাংশ গ্রাহক দেখতে না-পেলেও সেটি ট্রাই-এর আওতার বাইরে ছিল বলেই দাবি তাঁদের।
ভোগান্তির একই অভিযোগ উঠেছে গ্রাহকদের তথ্যভাণ্ডার তৈরি করা নিয়েও। আগামী ২৩ অগস্টের মধ্যে কলকাতার ৩০ লক্ষ গ্রাহকের তাঁদের নিজেদের ও পছন্দের চ্যানেল সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার কথা। ট্রাই জানিয়েছে, সময়সীমা বাড়ানো হবে না। যিনি তথ্য দেবেন না, পর দিন থেকে তাঁর টিভি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। গ্রাহকদের অভিযোগ, আবেদনপত্র পাঠানো, চ্যানেলের বা প্যাকেজের কী দর, সব কিছু নিয়েই অনেক জায়গায় চরম ধোঁয়াশা রয়েছে। গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এমএসও এবং কেবল-অপারেটরদের উদ্যোগী হওয়ার আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দাবি, প্রয়োজনে ওই সময়সীমা আরও কিছুটা শিথিল করুক ট্রাই। ট্রাই কর্তারা জানান, এখনও পর্যন্ত ৩৫% গ্রাহকের ক্ষেত্রে তথ্যভাণ্ডার তৈরি হয়েছে। কেন আরও আগে ট্রাই গ্রাহকদের এই অভিযোগ মেটাতে উদ্যোগী হয়নি, উঠেছে সে প্রশ্ন। যদিও ট্রাই কর্তাদের দাবি, বাকি ক’দিনে সব তথ্য মিলবে।
|