স্বাধীনতা দিবসে পাড়ায় বচসার জেরে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। বৃহস্পতিবার রাতে পণ্ডিতিয়া রোডের ঘটনা। মৃত কমল বর্ধন (৪৫) লোহার গ্রিল সারাই করতেন।
পুলিশ জানায়, একটি ক্লাবে ভোজের আসর ছিল। সেখানে আপেল দলুই ও আশিস দাস নামে দুই যুবক মত্ত অবস্থায় ক্লাব-কর্তাদের নামে কটূক্তি করে বলে অভিযোগ। ক্লাব সদস্যেরা জানান, কমলবাবুও সেই গোলমালে জড়ান। অভিযোগ, আপেল ও আশিস তাঁকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করলে জ্ঞান হারান কমলবাবু। পিজিতে তাঁর মৃত্যু হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত ওই দুই যুবক চড়াও হওয়ার সময়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হন কমলবাবু। ময়না-তদন্ত রিপোর্ট পেয়ে পুলিশও জানায়, হৃদরোগেই কমলবাবুর মৃত্যু হয়। কমলবাবুর স্ত্রী শিখাদেবীও কাউকে দায়ী করেননি। তিনি জানান, কমলবাবু গত তিন বছর ধরে হৃদ্রোগে ভুগছিলেন। |
বৃহস্পতিবারই ক্লাব সদস্য বাপি হালদার আপেল ও আশিসের নামে অভিযোগ করেন। শুক্রবার আশিসকে এবং বাপি মজুমদার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ক্লাব সদস্যদের অভিযোগ, অভিযুক্তদের সঙ্গে বাপিও ছিল। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, এক প্রভাবশালী প্রোমোটার ও এক ব্যবসায়ী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই দু’জনের নামে বাড়ি দখলের প্রচুর অভিযোগ আছে।
এই ঘটনায় রাজনীতির ছোঁয়াও লাগে। ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবাশিস কুমার বলেন, “কমলবাবু আমাদেরই দলের কর্মী ছিলেন। দোষীরা শাস্তি পাবে বলে আস্থা রাখছি।” ওই প্রোমোটার বা স্থানীয় ব্যবসায়ীর ভূমিকা নিয়ে তিনি কিছু বলেননি। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার ট্র্যাঙ্গুলার পার্কের মোড় অবরোধ করে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা তুলসী মুখোপাধ্যায় বলেন, “হত্যাকারীদের শাস্তি চাই। এলাকায় শান্তি ফিরুক।” কমলবাবুর স্ত্রী-র অভিযোগ, তাঁর স্বামীর মৃত্যু নিয়ে রাজনীতির চেষ্টা হচ্ছে। যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ বলেন, “আপেলের খোঁজ চলছে।” |