শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে দলের ৮ সদস্যকে বহিষ্কার করল সিপিএমের পূর্বস্থলী জোনাল কমিটি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দলের দু’জন শাখা কমিটির সম্পাদক ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এক প্রার্থী। বিষয়টি চিঠি দিয়ে ওই সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নসরতপুর পঞ্চায়েতে ৩০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ও বিজেপি ১২টি করে আসন পায়। সিপিএম পায় ৩টি আসন। সেখানে ১৬-১৩ ভোটে জিতে প্রধান হন বিজেপি-র সদস্য। উপপ্রধানও হন বিজেপি থেকে। পূর্বস্থলী ২ ব্লকে নিমদহ পঞ্চায়েতে সিপিএম ১১টি, তৃণমূল ৭টি ও বিজেপি ৫টি আসন পায়। প্রধান বিজেপি থেকে ও উপপ্রধান সিপিএম থেকে নির্বাচিত হয়। দু’ক্ষেত্রেই বিজেপি-কে বোর্ড গঠনে সাহায্য করেন সিপিএমের সদস্যেরা।
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, বহিষ্কৃত সদস্যেরা প্রত্যেকেই নিমদহ পঞ্চায়েত এলাকার কর্মী। তাঁরা হলেন সুভাষচন্দ্র পাল, লোহারাম ঘোষ, দিলীপ মণ্ডল, গৌতম দাস, গৌতম বসু, গোপীনাথ কর্মকার, আবদুল সাত্তার শেখ ও বসন্ত চট্টোপাধ্যায়। এদের মধ্যে সুভাষবাবু নিমদহ শাখা কমিটি ও গৌতম বসু নিমদহ পশ্চিম শাখা কমিটির সম্পাদক ছিলেন। লোহারাম ঘোষ মন্তেশ্বর ২ ব্লকের ৩৮ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে সিপিএমের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
সিপিএমের পূর্বস্থলী জোনাল কমিটির সম্পাদক সুব্রত ভাওয়াল বলেন, “নিমদহ পঞ্চায়েতে বিজেপি-র সঙ্গে জোট করে পঞ্চায়েত গঠন করেছে আমাদের দলের জয়ী সদস্যরা। এই ঘটনা দল সমর্থন করে না। তাই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এই ব্যবস্থা নেওয়া হল। জোনাল কমিটির এই সিদ্ধান্ত জেলা কমিটিকে জানানো হয়েছে।” সুব্রতবাবু আরও জানান, নিমদহ পঞ্চায়েতে দলের টিকিটে যে ৮ জন জিতে বিজেপি-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন তাঁরা সিপিএমের দলীয় সদস্য নয়। তবে ওই পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে সর্ম্পক রাখবে না সিপিএম। চিঠি পাওয়ার পর বহিষ্কৃত সিপিএম সদস্য সুভাষচন্দ্র পাল বলেন, “দল নিশ্চয় ভেবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।”
|