বোমাবাজিতে অশান্ত হল কাটোয়া ও মন্তেশ্বরের দু’টি গ্রাম। কাটোয়ায় বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। মন্তেশ্বরে তৃণমূলেরই দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমালে জখম হলেন চার জন।
বুধবার রাতে কাটোয়ার করুইগ্রামে কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য-সহ দু’জনের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার শিশির ঘোষ নামে ওই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কাটোয়া থানায় দশ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, কাটোয়া ২ ব্লকে করুইগ্রাম পঞ্চায়েতে ১৪টির মধ্যে ৮টি আসন পেয়ে জয়ী হয় সিপিএম। পাঁচটি আসন পায় কংগ্রেস। এ ছাড়া দু’টি পঞ্চায়েত সমিতির আসন ওই গ্রাম থেকেই পেয়েছে কংগ্রেস। কাটোয়ার কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “করুইগ্রামে আমরা ৫টি আসন পাওয়ায় সিপিএম আমাদের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বোমা মেরেছে।” |
মন্তেশ্বরের আহত। —নিজস্ব চিত্র। |
কংগ্রেসের অভিযোগ, বুধবার রাতে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়ে উপর্যুপরি বোমা মারে। শিশিরবাবু ও আর এক কংগ্রেস কর্মী রকমারি শেখের বাড়ির অ্যাসবেস্টস ভেঙে পড়ে। পুলিশ এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশিও চালায়। তবে কাউকে ধরতে পারেনি পুলিশ। সিপিএমের কাটোয়া জোনাল সম্পাদক অঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কেউ যুক্ত নয়।”
মন্তেশ্বরের বাঘাসন পঞ্চায়েতের পাকুড়মুড়ি গ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুরে বোমাবাজিতে আহত হন চারজন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় তৃণমূলের রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও আশিস মণ্ডল নামে দু’জনের গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এ দিন দুপুরে আশিস মণ্ডলের অনুগামীরা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামীদের লক্ষ করে বোমা ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। রবীন্দ্রনাথ-গোষ্ঠীর অভিযোগ, হামলা চালানোর জন্য বহিরাগত দুষ্কৃতীরা গ্রামে ঢুকেছিল। যদিও আশিস মণ্ডলের সঙ্গে দলের কোনও সর্ম্পক নেই বলে দাবি করেছে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের মন্তেশ্বর ব্লক সভাপতি সজল পাঁজা বলেন, “আশিসের সঙ্গে দলের কোনও সর্ম্পক নেই। ও সমাজবিরোধী। তার বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবু মাঝি, রঘুনাথ বসু, উত্তম সাঁতরা ও নমিতা সাঁতরা নামে আহত চার জনকে প্রথমে মন্তেশ্বর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। |