সাত মাস আগে স্কুল ছাত্রকে অপহরণের ঘটনায় গতকাল রাতে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও একজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের গ্রেফতার করা হয়েছে রানিগঞ্জ ও অন্ডালের বিভিন্ন এলাকা থেকে। গত ফ্রেবুয়ারিতে দুর্গাপুরের স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বাস থেকে নামতেই দক্ষিণখন্ডের তেঁতুলতলার কাছে অপহরণ করা হয়েছিল সপ্তম শ্রেণির স্কুলছাত্র মণীশ পাঠককে। এরপর বাঁকুড়ার শুশুনিয়া হয়ে মণীশকে নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের বাসকীনাথে। সেখানে একটি গেস্ট হাউসে রাখা হয়েছিল ওই পড়ুয়াকে। এরপর রানিগঞ্জ থেকে মোবাইলে ওই পড়ুয়ার বাবাকে ফোন করে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। দরাদরি করে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে রানিগঞ্জের মেজিয়া রোড এলাকা থেকে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন বাবা।
অপহরণের ঘটনার দিনেই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন স্কুলছাত্রের বাবা। যদিও পুলিশের দাবি তিনি মুক্তিপণের বিষয়টি জানাননি। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, যে মোবাইল থেকে ফোন করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল সেটি উখড়ার একটি দোকান থেকে জাল পরিচয়পত্র দিয়ে কেনা হয়েছিল। বুধবার রাতে পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করে ওই মোবাইলের দোকানের মালিক সুভাষ বার্নোবালকে।
আসানসোল-দুর্গাপুরের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব বলেন, “মোবাইলের দোকানের মালিককে গ্রেফতারের পরেই ধরা হয় বাকিদের। রানিগঞ্জের ওল্ড দোমহানি রোডের অমিত কুমার শর্মা, মধুজোরের দাসপাড়ার অজয় ওরফে সাগর পান্ডেই এই অপহরণের মূল চক্রী। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে মনীশ ওঝা, মহম্মদ নাজ ও লাল্টুকে। এই তিনজনের সঙ্গে অপহরণের সময় গাড়িতে র্যাম্বো নামে একজন ছিল। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, অপহৃত স্কুলছাত্রকে দিয়ে ধৃতদের টিআই প্যারেড করানো হবে। সংশোধনাগারে টিআই প্যারেড শেষ হওয়ার পরে ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
গয়না চুরি। পালিশ করার নাম করে প্রায় দু’ভরি সোনা নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার পাণ্ডবেশ্বরের নবগ্রামের ঘটনা। বাড়ির মালিক শোভা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, সকালে একটি বাইকে দুই যুবক তাঁর বাড়িতে আসে। তারা গয়না পালিশ করার কথা বললে তিনিও সোনার গয়না দিয়ে দেন। পরে শোভাদেবীকে জল আনতে বলে গয়না-সহ বাইক নিয়ে ওই দুই যুবক পালায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
পুরনো খবর: অপহৃত ছাত্র, অভিযোগ |