সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে কাঁটাতার বিহীন এলাকায় যৌথ পরিদর্শন হয়। বাংলাদেশের পক্ষে ১৮ জনের দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজিবির দিনাজপুর সেক্টারের কমান্ডার কর্ণেল সইদুল আলম। বিএসএফের ২৫ জনের একটি দল নেতৃত্বে ছিলেন কোম্পানি কমান্ডার রাজেন সুদ। যৌথ দলটি হিলি চেকপোস্ট, হিলি বাজারপাড়া, ঘাঁসুরিয়া, দক্ষিণপাড়া এবং হাঁড়িপুকুর এলাকা পরিদর্শন করেন। |
সীমান্ত এলাকা ঘরে দেখছেন বিএসএফ এবং বিজিবি-র আধিকারিকেরা।
বুধবার অমিত মোহান্তের তোলা ছবি। |
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ওই এলাকাগুলিতে এখনও কাঁটাতারের বেড়া বসানো যায়নি। কেননা, সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে দেড়শো গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া বসানোর আন্তর্জাতিক নিয়ম রয়েছে। কিন্তু হিলি সীমান্তের ক্ষেত্রে ওই ৫টি এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া বসানো হলে হিলির মূল বাজার এলাকা থেকে বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র কাঁটাতারের ঘেরাও হয়ে মূল ভারত ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে। বহুবার হিলির ওই সমস্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া বসানোর সরকারি উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাসিন্দাদের বিক্ষোভ আন্দোলনের জেরে তা স্থগিত হয়েছে। এতে এলাকার একাংশ দিয়ে চোরা চালান ও অনুপ্রবেশ হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দৈর্ঘ্য ২৫২ কিমি। অধিকাংশ জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া বসানোর কাজ শেষ। হিলি সীমান্তে ১০ কিমি এলাকায় কাঁটা তারের বেড়া বসানো যায়নি। বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার রাজেন সুদ বলেন, “এলাকাগুলিতে কাঁটাতারের বেড়া বসানোর বিষয়ে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সমীক্ষা করে রিপোর্ট তৈরি করবে। তার পরে তা নিজ দেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠাবে।” |