প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষণ পরীক্ষায় গণ টোকাটুকির অভিযোগ উঠেছে। এই টোকাটুকির অভিযোগ তুলে মালদহ শহরের উমেশচন্দ্র বাস্তুহারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পরীক্ষার হলে গার্ড দিতে অস্বীকার করেছেন। স্কুলের শিক্ষকরা গার্ড দিতে অস্বীকার করায় সমস্যা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। বুধবার তড়িঘড়ি শিক্ষা সংসদের ১২ কর্মীকে দিয়ে স্কুলে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন সংসদের চেয়ারম্যান।
অভিযোগ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান স্বপন মিশ্র তিনি বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষক ট্রেনিং পরীক্ষায় গণ টোকাটুকির অভিযোগে স্কুলের শিক্ষকরা পরীক্ষায় গার্ড দিতে পারবেন না বলে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছিলেন। পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য সংসদের ১২ জন কর্মীকে দিয়েই পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।” তিনি জানান, সংসদের কর্মীদের দিয়েই বাকি পরীক্ষাগুলি নেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীরা যদি অন্যয় করেন তবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই স্কুলের শিক্ষকেরাও সরকারি নির্দেশ মানছেন না। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংসদ সূত্রে জানা দিয়েছে, জেলার একটি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক ট্রেনিং কলেজের পার্ট ওয়ানের ২৯০ জন ও পার্ট টু-র ৯৯ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা শুরু হয়েছে ১৯ অগষ্ট থেকে। পরীক্ষা চলবে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। পার্ট ওয়ান ও পার্ট টু পরীক্ষা একদিন পরপর হচ্ছে। উমেশ চন্দ্র বাস্তুহারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছেন, পরীক্ষার শুরুর দিন থেকেই পরীক্ষার্থীরা গণ টোকাটুকি করছেন। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আধিকারিকদের বলার পরেও তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এইভাবে আমাদের পক্ষে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। টিচার্স কাউন্সিলরের সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস বলেন, “পরীক্ষার শুরুর দিন থেকে টোকাটুকি হচ্ছিল। তাতে আমাদের সমস্ত শিক্ষকদের বিবেক ও নৈতিকতায় বাঁধছিল। সেই কারণেই আমরা পরীক্ষায় গার্ড না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” প্রধান শিক্ষক সনৎ সাহা বলেন, “এরকম হলে পরীক্ষার জন্য সংসদকে স্কুল দিতাম না।”
১৯ ও ২০ অগস্ট গণটোকাটুকি অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার পরীক্ষার শেষে স্কুলের শিক্ষকরা বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে দেন। প্রধান শিক্ষক প্রাথমিক সংসদ চেয়ারম্যানকে শিক্ষকদের সিদ্ধান্তের কথা জানান। এ দিন স্কুলে ১২টি ঘরে ১২ কর্মীকে মোতায়েন করে ১১টায় পরীক্ষা শুরু করে দফতরে যান সংসদ চেয়ারম্যান। |