পৃথক আলিপুরদুয়ার জেলার প্রসঙ্গকেই সামনে রেখে পুরভোটের প্রচার করবে কংগ্রেস। বুধবার শহরের ২০টি ওয়ার্ডের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে ওই কথা জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরঞ্জন সরকার। তিনি জানান, এ বার নতুন ১২ জনকে প্রার্থী করা হয়েছে। ২০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯ জন মহিলা। এ দিন থেকেই আমাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু করেছেন। তিনি বলেন, “আমরাও জেলা চাই। তবে তা তো আর হচ্ছে না। প্রতিবার ভোট আসছে আর শাসক দল আশ্বাস, প্রচার করছে। তাই পুরভোটের প্রচারে পৃথক জেলা ঘোষণা না হওয়ায় শাসক দলের বঞ্চনার কথা তুলে ধরব।” গত মঙ্গলবারই ‘আলিপুরদুয়ার জেলা চাই, তৃণমূলকে ভোট দিন’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রচারের কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। শাসক দলের স্লোগান নিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় এ দিন বলেছেন, “বিষয়টি গণতন্ত্রের পরিপন্থী। শাসক দল অন্য কোনও দলের অস্তিত্ব মানতে চাইছে না। জেলা নিয়ে সর্বদল বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু এতো দেখছি ভোটারদের উপর শর্ত চাপানো হচ্ছে।” এ দিন বামফ্রন্ট, তৃণমূল ও কংগ্রেসের অনেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রণপা শিল্পীদের নিয়ে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেস বিধায়ককে কটাক্ষ করে যুব তৃণমূল রাজ্যের কার্যকরী সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় বহিরাগত। আমাদের স্লোগান দেবপ্রসাদবাবু যতই কটাক্ষ করুন, তিনি জলপাইগুড়ি বাসিন্দা। তিনি আলিপুরদুয়ার পৃথক জেলার প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এসেছেন।” সৌরভবাবুর কটাক্ষকে শিশুসুলভ মন্তব্য করে দেবপ্রসাদ বলেন, “এটা রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা। বিধানসভা ভোটের আগেও এ সব বলা হয়েছিল। পৃথক জেলার দাবিতে আমি প্রথম থেকেই সরব।’’ সৌরভবাবু জানান, পুরসভার তৃণমূল ক্ষমতা এলে গত বোর্ডের বিরুদ্ধে ভিজিল্যান্স তদন্ত করানো হবে। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের বিদায়ী চেয়ারম্যানকে দুর্নীতিপরায়ণ বলে অভিযোগ করেছেন। পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা টাউন ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল তদন্ত করাতে পারে। মানুষ জানে আমরা কি কাজ করেছি। সৌরভবাবুরা এই এলাকার মানুষকে এখন বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।” |