এ বছর রাজ্যের এভারেস্ট জয়ীদের সংবর্ধনা জানাতে উদ্যোগী হিমালয় নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশন (ন্যাফ)। বুধবার শিলিগুড়ির কাছারি রোডে সংগঠনের কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে তারা জানান, আগামী ২৪ অগস্ট শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে। যাঁদের সংবর্ধনা জানানো হবে তাঁরা হলেন কলকাতার উজ্জ্বল রায়, দেবাশিস নন্দী, হাওড়ার ছন্দা গায়েন। প্রথম দু’জন কলকাতার স্নাউট অ্যাডভেঞ্চার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। তাঁরা এ বছর ১৯ মে এভারেস্টে ওঠেন। ছন্দা উঠেছিলেন ১৮ মে। তিনি ২০ মে চতুর্থ উচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট লোৎসে-ও জয় করেন। ছন্দা ন্যাফের সদস্য। ন্যাফের সদস্য বর্ধমানের বাসিন্দা রাজীব মণ্ডলকেও সংবর্ধনা জানানো হবে। রাজীব হিমালয়ের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত একাকী বাইক নিয়ে ঘুরেছেন। ২০০৯-২০১০ সালে তিনি একাকী পায়ে হেঁটেও হিমালয়ের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ঘুরেছিলেন। এ বছর এভারেস্ট জয় করেছেন রাজ্যের বাসিন্দা টুসি দাস-ও। তিনি অন্য অভিযানে বাইরে থাকায় এই অনুষ্ঠানে তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে পারছেন না উদ্যোক্তারা।
|
ভেজাল মিশিয়ে চা পাতা তৈরির অভিযোগে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের একটি বটলিফ কারখানা থেকে প্রায় ৩০ হাজার কেজি তৈরি চা পাতা বাজেয়াপ্ত করেছে চা পর্ষদ। বুধবার দুপুরে ওই বটলিফ কারখানায় চা পর্ষদের আধিকারিকেরা অভিযান চালান। অভিযোগ, কাঁচা পাতা থেকে চা তৈরির সময় ফেলে দেওয়া অংশকে ভাল মানের পাতার সঙ্গে মিশিয়ে প্যাকেট করে খোলা বাজারে বিক্রি করছিল ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ। ওই কারখানা কর্তৃপক্ষকে শোকজ করেছে চা পর্ষদ। ৭ দিনের মধ্যে শোকজের জবাব না দিলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা পর্ষদ আধিকারিকরা জানিয়েছেন। চা পর্ষদের উত্তরবঙ্গের উপ অধিকর্তা কল্যাণ ভট্টাচার্য বলেন, “নিম্নমানের চা পাতা বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি ওই কারখানা থেকে বেশ কিছু পরিমাণ তৈরি চায়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলি পরীক্ষা করতে পাঠানো হবে। রিপোর্ট সন্তোষজনক না হলে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চলে। ক্ষুদ্র এবং মাঝরি চা বাগানের পাতাই বটলিফ কারখানায় যায় বলে পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতির সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, “এ ধরনের কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান চালালে উত্তরবঙ্গের পাতার গুণমান বজায় রাখা যাবে।”
|
গোর্খা জাতিসত্তা তুলে ধরতে হায়দরাবাদে ম্যারাথনে অংশ নিতে রওনা হলেন পাহাড়ের ১৩ জন দৌড়বিদ। একটি সংস্থার উদ্যোগে ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করতে বুধবার শিলিগুড়ি থেকে রওনা হন তাঁরা। দার্জিলিং, কালিম্পং থেকে মোট ১৩ জন। তাঁদের সঙ্গে পশ্চিম সিকিমের বাসিন্দা অমর সুব্বাও যাচ্ছেন। অমর সুব্বা বলেন, “পাহাড়ের এই দৌড়বিদদের সঙ্গে যাচ্ছি। তাঁরা যে দাবি নিয়ে যাচ্ছেন তাতে আমরাও সমর্থন রয়েছে।” দলের নেতৃত্বে থাকা প্রেমিকা রাই জানান, নিজেদের জাতিসত্তার পরিচিতির জন্য তাদের এই আন্দোলন। তবে কোন রাজনৈতিক বিষয়ে না গিয়ে শুধুমাত্র পরিচিতির দাবিতেই ম্যারাথনে দৌড়বেন তাঁরা। ম্যারাথনে অংশ নেওয়ার সময় জার্সিতেও থাকবে সেই বার্তা। আগামী ২৫ অগস্ট হায়দরাবাদে ম্যারাথন প্রতিযোগিতাটি হবে।
|
নদীবাঁধ পরিদর্শন ও সেচ আধিকারিক-বাস্তুকারদের নিয়ে বৈঠক করতে দু দিনের সফরে উত্তরবঙ্গে আসছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি শিলিগু়ড়িতে আসবেন বলে জানান উত্তরবঙ্গ বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান গঙ্গাধর দে। তিনি জানিয়েছেন, শনিবার মন্ত্রীর জলপাইগুড়ি যাওয়ার কথা। মন্ত্রী বলেন, “উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জন্য বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। সেগুলি দেখব। দফতরের আধিকারিক, বাস্তুকারদের সঙ্গে বৈঠকও করব।”
|
পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে তৃণমূল। এই অভিযোগে বুধবার সারা রাজ্যের পাশাপাশি শিলিগুড়িতে প্রতিবাদ সভা করে দার্জিলিং জেলা সিপিএম। সিপিআইএম এর কাউন্সিলর শরদিন্দু চক্রবর্তী অভিযোগ করেন ফুলবাড়ির বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে যে ভাবে সন্ত্রাস চালিয়েছে তৃণমূল তা অত্যন্ত নিন্দাজনক। তাঁদের দাবি, সে দিনের ঘটনায় অপরাধীদের ধরা হয় নি, যাঁদের ধরা হয়েছে তাঁরা জড়িত নয়। সভায় তাঁদের মুক্তির দাবি জানান সিপিআইএম শিলিগুড়ি জোনাল কমিটির সদস্য মুকুল সেনগুপ্ত।
|
স্বামী নিগমানন্দের জন্ম দিবস উপলক্ষে দুঃস্থদের কম্বল বিলি করা হল। বুধবার খড়িবাড়ির পানিট্যাঙ্কি এলাকায় তা পালন করেন ভক্তরা। নানা ভাষাভাষি বাসিন্দাদের রাখিও পরিয়ে দেন তাঁরা। নিগমানন্দের জীবন নিয়েও অনেকে বক্তব্য রাখেন। জেলা নিগামানন্দ যুব সঙ্ঘের তরফে রবীন্দ্রনগর গার্লস স্কুলের একাদশ শ্রেণির এক দুঃস্থ ছাত্রীকে পড়াশোনার বই দেওয়া হয়। |