প্রায় দেড় কোটি টাকা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত রেজিস্ট্রার দিলীপ সরকারের বিরুদ্ধে যে মামলা চলছে তা ধামাচাপা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের একাংশ সক্রিয় বলে অভিযোগ তুলেছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে বলার সময় ওই বিষয়টিও তাঁরা সামনে আনেন। এমনকী আধিকারিকদের একাংশ নাম প্রকাশ না করে প্রচার করছেন সরকার না কি মামলাটিকে তুলে নেওয়ার বিষয় ভাবছে। কে বা কারা এ ধরনের প্রচার চালাচ্ছেন উচ্চ পর্যাযের তদন্ত কমিটি গড়ে তা খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন শিক্ষক সমিতির সদস্যরা। সমস্ত বিষয়গুলি নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করেন তারা। পরে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন। উপাচার্য সমীর কুমার দাস এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। শিক্ষকরা তাদের কিছু বিষয়ে আমাকে জানিয়েছেন, যেগুলি সংশ্লিষ্ট জায়গায় জানাতে হবে। সে সব ব্যাপারে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেব।”
দিলীপবাবু বলেন, “গোড়া থেকেই বিভিন্ন ভিত্তিহীন অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে। তার শিকার হয়েছি। এখনও কিছু শিক্ষক তাঁদের নিজেদের স্বার্থে চক্রান্ত করছেন। একদিন সত্য সামনে আসবেই।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সম্পাদক সমর কুমার বিশ্বাসের অভিযোগ, “আধিকারিদের একাংশ বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করছেন দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে ওই মামলাটি না কি রাজ্য সরকার প্রত্যাহার করে নেবে। এ ধরনের প্রচার কে বা কারা করছেন তাদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য উপাচার্যকে জানিয়েছি।”
অন্য দিকে শিক্ষকদের যে সমস্ত সমস্যার বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে তার মধ্যে আগাম ছুটি নিলেও বন্ধের দিনে কাজে আসেননি এমন ২৪ জনকে শো-কজ করা হয়েছে। অথচ বন্ধ ঘোষণার আগেই তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষই ছুটি মঞ্জুর করেন। তাই তাঁদের শো-কজের চিঠি প্রত্যাহারের দাবি জানায় সমিতি। শিক্ষকদের পদোন্নতির বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন তাঁরা। সদস্যদের দাবি, গবেষণার কোনও কাজ বিদেশে সমাদৃত হলে ও সেখানে সেমিনার, কর্মশালায় তা তুলে ধরতে আমন্ত্রণ পেলে যাতায়াতের খরচ বিশ্ববিদ্যালরে মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম অনুসারে সেই টাকা পুরটাই মেটাতে হবে। টাকা অনুমোদন করার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষে বাইরের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে মূল্যায়ণ করেন। ওই মূল্যায়ন পদ্ধতি বন্ধ করার দাবি জানান তাঁরা। |