|
|
|
|
রাখিবন্ধনে সৌহার্দ্যের অচেনা ছবি হলদিয়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
একুশে মিল। সেই সাত মাস আগে ২১ ফেব্রুয়ারি, ভাষা শহিদ দিবসে হলদিয়া পুরসভার ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দুই শিবিরকে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল। বুধবার, ২১ অগস্ট রাখিবন্ধন উৎসবে ফের একই মঞ্চে পরস্পরকে রাখি পরিয়ে সম্প্রীতির সেতু তৈরি করলেন বিরোধী দলনেতা দেবপ্রসাদ মণ্ডল ও বাম পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডা শেঠ।
পুরসভা ও রাজ্য সরকারের যুবকল্যাণ বিভাগের উদ্যোগে এ দিন রাখিবন্ধন উৎসবের আয়োজন হয়েছিল পুরসভার গেটের ঠিক বাইরে। মঞ্চে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা দেবপ্রসাদ মণ্ডল, স্বপন নস্কর, হেলেন করণ-সহ অন্য তৃণমূল কাউন্সিলররা। বেলা ১২টায় পুরভবন থেকে বেরিয়ে সটান মঞ্চে উঠে যান বাম পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডা শেঠ, উপপুরপ্রধান নারায়ণ প্রামাণিক, তাপসী মণ্ডল-সহ বাম কাউন্সিলররা। যুযুধান দুই শিবির একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুরুতেই বেধে দেয় মিলনের সুর। বিরোধী দলনেতা দেবপ্রসাদবাবুকে রাখি পরিয়ে দেন তমালিকাদেবী। দেবপ্রসাদবাবুও রাখি পরিয়ে দেন পুরপ্রধানকে। একে একে সকলের হাতেই বাঁধা হল সম্প্রীতির শক্ত সুতো। সৌহার্দ্যের অচেনা ছবিতে খুশির আবহ তৈরি হল পুরসভায়। |
বিরোধী দলনেতাকে রাখি পরিয়ে দিচ্ছেন পুরপ্রধান। —নিজস্ব চিত্র। |
গত বছর ২৬ জুন হলদিয়া পুরসভায় চতুর্থ বারের জন্য বামেরা বোর্ড গঠন করার পর থেকেই প্রধান বিরোধী দল তৃণমূলের সঙ্গে লাগাতার বিরোধিতা চলছিল। পুরসভার কার্যবিবরণী পছন্দ না হওয়ায় প্রতি মাসের বোর্ড মিটিং ‘অবৈধ’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে সরব হন তৃণমূল কাউন্সিলররা। ঘেরাও-বিক্ষোভ এমনকী পুরসভায় ভাঙচুরও করেন তৃণমূলের লোকেরা। এরই মধ্যে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহিদ দিবসে পুরসভার অনুষ্ঠানে একই সঙ্গে শহিদ স্তম্ভে মাল্যদান করে সৌহার্দ্যের বার্তা দেন পুরপ্রধান ও বিরোধী দলনেতা। যদিও সেই মেলবন্ধন ফিকে হতে এক সপ্তাহও সময় লাগেনি। ২৮ ফেব্রুয়ারি বোর্ড মিটিংয়ের ‘ভেনুবদল’ নিয়ে যুযুধান দুই শিবিরের মধ্যে ফের বিরোধ বাধে। বিরোধিতা চলছিলই। সম্প্রতি পুরসভার বার্ষিক খতিয়ানের পুস্তিকা প্রকাশে ডাক পাননি তৃণমূল কাউন্সিলররা। তাই এ দিনের ‘শান্তি-স্থাপনে’র মেয়াদ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিরোধী দলনেতা দেবপ্রসাদ মণ্ডল অবশ্য আশ্বস্ত করে বলেন, “বিরোধিতা আমরাও চাই না। তবে উন্নয়ন স্তব্ধ করার মতো অন্যায়কে আমরা প্রশ্রয় দিতে পারি না।” পুরপ্রধান বলেন, “সম্প্রীতির বন্ধন প্রতিটি দিন বজায় থাকুক। আমি আন্তরিক ভাবে সব সময় সেই চেষ্টাই করি। আশা করি দেবুবাবুরাও চেষ্টা করেন।” |
|
|
|
|
|