সোমবার শুরু এ বারের যুক্তরাষ্ট্র ওপেন রজার ফেডেরারের ১৪তম ফ্লাশিং মেডো অভিযান। আগের ১৩ বারের মধ্যে ২০০৪ থেকে টানা পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন। গত বারও নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড স্ল্যামে ছিলেন শীর্ষ বাছাই। বছর ঘুরতে সে-ই তিনি কেরিয়ারের নিকৃষ্টতম বাছাই সাত! জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে, টেনিসের ইতিহাসে সর্বাধিক (১৭) গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন আর কত দিন কেরিয়ার টেনে নিয়ে যাবেন? যে জল্পনার কাছে বাছাই তালিকায় জকোভিচের এক নম্বর হওয়া, গত বারের চ্যাম্পিয়ন মারেকে তিনে ঠেলে দিয়ে নাদালের দ্বিতীয় বাছাই হওয়া, মেয়েদের সিঙ্গলসে সেরেনা উইলিয়ামস, আজারেঙ্কা ও শারাপোভার প্রত্যাশিত প্রথম তিন বাছাই হওয়ার খবর চাপা পড়ে গিয়েছে।
ফেডেরার গত ৮ অগস্ট ৩২ বছর পূর্ণ করেছেন। তাঁর চেয়ে বেশি বয়সে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার নজির গত ৪০ বছরে শুধু আগাসির (২০০৩-এ ৩২ বছর ৮ মাস ২৮ দিন বয়সে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন)। আর সবচেয়ে বেশি বয়সে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন কেন রোজওয়াল (’৭২-এ ৩৭ বছর, ২ মাস ১ দিনে অস্ট্রেলীয় ওপেন)। |
বেলাইন ফেড-এক্স |
• ১২ বছরের মধ্যে
সর্বনিম্ন র্যাঙ্কিং (৭)।
• ১১ বছরের মধ্যে গ্র্যান্ড স্ল্যামে
সর্বনিম্ন বাছাই (৭)।
|
• ১০ বছরের মধ্যে
এক মরসুমে
সর্বাধিক
ম্যাচে হার (১১)।
• মরসুমে সবচেয়ে কম হার্ডকোর্ট ম্যাচ খেলে
যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে
নামছেন (৩ ম্যাচ)। |
|
|
বাছাই তালিকা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে কোয়ার্টার ফাইনালেই ফেডেরারের নাদাল বা জকোভিচের সামনে পড়ার সম্ভাবনা। কিন্তু টেনিসমহলের অনেকে ভাবছেন, ওই পর্যন্তও কি তিনি যাবেন? উইম্বলডনে এ বার দ্বিতীয় রাউন্ডে হেরে ফেডেরার টানা ৩৬ গ্র্যান্ড স্ল্যামের শেষ আটে খেলার বিরল সুযোগ হারিয়েছেন।
তবে ফ্লাশিং মেডোয় যাই ঘটুক, স্বয়ং ফেডেরার এখনই র্যাকেট তুলে রাখার কোনও ইঙ্গিত দিচ্ছেন না। ঘরের মাঠ স্তাদে বড় মাপের র্যাকেট নিয়ে গোড়াতেই হারের পর গত সপ্তাহে সিনসিনাটিতে ফের পুরনো র্যাকেটে ফিরে গিয়েছেন। তাতেও নাদালের কাছে হারেন। তবু নিউইয়র্কে বাছাই তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর বলেছেন, “এই খেলাটার প্রতি আমার প্যাশন এখনও আকাশচুম্বী। আমি জানি আমার শরীর দারুণ আছে। মানসিক ভাবে ঠিক আছি। সুতরাং ভাল কিছু করা দিকেই তাকিয়ে আছি। বছরের শেষে এটিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালসে যোগ্যতা পাওয়া নিয়েও আমি আশাবাদী। সেটা পেলে কেন ভাবব যে, আমি ফুরিয়ে গিয়েছি? ওখানে তো বিশ্বের প্রথম আট প্লেয়ারই শুধু খেলার যোগ্যতা পায়!”
|