|
|
|
|
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি বরাক উপত্যকায়
উত্তম সাহা • শিলচর |
কেউ চাইছেন বরাক রাজ্য। কারও দাবি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের। অনেকে আবার অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিষদের জন্য আন্দোলনে সামিল। সমস্ত দাবিদারদের এক মঞ্চে এনে একযোগে এক ও অভিন্ন দাবি উত্থাপনে উদ্যোগী হল ইউনিয়ন টেরিটরি ডিমান্ড কমিটি (ইউটিডিসি) এবং আকসা যুব ফ্রন্ট। শিলচরের ইলোরা হোটেলে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠকে সকলে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন, এখনই রাজ্যের দাবি নয়। একযোগে আওয়াজ উঠুক, বরাক উপত্যকাকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বীকৃতি দিতে হবে।
বৈঠকে বরাক ডেভেলপমেন্ট পরিষদ, কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি, হাইলাকান্দি রেলযাত্রী অধিকার সুরক্ষা সমিতি, হাইলাকান্দি জেলা বেকার সংস্থা, বরাক অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিষদ দাবি কমিটি, লালা রুরাল কলেজ ছাত্র সংসদ, বাদশা সংখ্যালঘু উন্নয়ন পরিষদ-সহ ২৮টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের রূপরেখা চূড়ান্ত করার জন্য আগামী ৮ সেপ্টেম্বর শিলচরে এক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানেই গঠিত হবে একটি জয়েন্ট কাউন্সিল। সম্মেলনকে সার্থক করে তোলার জন্য ছয় সদস্যের এক সমন্বয়-রক্ষা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে রয়েছেন প্রমোদ শ্রীবাস্তব, সৌমিত্র নাথ, সামসউদ্দিন বড়লস্কর, বদরুল হক, পীযূষকান্তি দাস এবং মজনুল হক মজুমদার।
সৌমিত্র নাথরা জানিয়েছেন, ১৯৪৮ সালে প্রথম পৃথক বরাকের দাবি জানানো হয়। সম্ভবত স্বাধীন ভারতে এমন দাবি এই অঞ্চল থেকেই প্রথম ওঠে। এ নিয়ে ১০-১২ বার কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপিও পেশ করা হয়। তাঁদের আক্ষেপ, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে বলে সরকারের কাছে বরাকের দাবি গুরুত্ব পায় না। যারা হিংসার পথে এগোয়, প্রশাসন যন্ত্রকে অস্থির করে তোলে, কেন্দ্রীয় সরকার তাদের দাবিকেই অগ্রাধিকার দেয়।
পৃথক বরাকের দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরে রাজীব সোম বলেন, অসমের অন্য অংশের সঙ্গে এই অঞ্চল ভৌগোলিক দিক থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন। সড়ক পথে মেঘালয়ের উপর দিয়ে রাজধানী দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। ভাষা-সংস্কৃতিতেও এই অঞ্চল আলাদা। আর এ জন্যই বরাক উপত্যকা বৈষম্যের শিকার।
|
|
|
|
|
|