প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ঝাড়খণ্ড
কটানা ৪৮ ঘন্টা প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ঝাড়খণ্ড। বসতি এলাকায় জল জমে যাওয়ায় সরকারি শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে অনেক পরিবার। পূর্ব সিংভূম, সরাইকেলা, সাহেবগঞ্জের মতো জেলায় পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।
পূর্ব সিংভূম জেলার বাগবেড়া, শাস্ত্রীনগর, মানগো, ডাইকুট্টু-সহ একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সরাইকিলার আদিত্যপুর, রাজনগরের ছবিটা একইরকম। দু’টি জেলার প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দা ঘরছাড়া। জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, নিয়ম না-মেনে নদীর তীরের নীচু জমিতে বাড়ি তৈরি করায় ওই সমস্যা হয়েছে। বিপদগ্রস্ত মানুষের জন্য একাধিক ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।

ফুলে ফেঁপে উঠেছে সুবর্ণরেখা। বুধবার জামশেদপুরে পার্থ চক্রবর্তীর তোলা ছবি।
প্রবল বৃষ্টির জেরে বুধবার রাতে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের একটি বাঁধ থেকে জল ছাড়া হয়। তার জেরে জামশেদপুরের কাছে খরকাই নদীতে বান আসে। জল ঢুকে যায় পূর্ব সিংভূম এবং সরাইকেলাতেও। জল ছাড়া হয় চাণ্ডিল বাঁধ থেকেও। সাহেবগঞ্জে গঙ্গা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। প্রশাসন জানিয়েছে, নদীর বিপদসীমা ২৪.৮৩ মিটার। কিন্তু আজ জলস্তর উঠেছে ২৬.৩৯ মিটারে। রাজমহল, উদুয়া ও সাহেবগঞ্জ ব্লকে জল ঢুকেছে। ওই জেলাতেও হাজারবিশেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সাহেবগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক অরুণ মণ্ডল বলেন, “ঘরে জল ঢুকে যাওয়ায় অনেকে বাঁশের মাচা বেঁধে তার উপর থাকছেন।” জেলার ডেপুটি কমিশনার কে মুত্থুকুমার জানান, উদ্ধারকাজ এবং ত্রাণ-সামগ্রী পৌঁছনোর জন্য নৌকা নামানো হয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ৪৮ ঘন্টায় সরাইকেলা এবং পূর্ব সিংভূমে প্রায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। নিম্নচাপ ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে। আগামীকাল পর্যন্ত রাজধানী রাঁচিতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টিতে রাঁচির লোয়ার চুটিয়া, লোহরাকোচা, পুরানি রাঁচির মতো এলাকায় জল জমেছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.