|
|
|
|
দিল্লি ভোটের আগে দ্বন্দ্বে দীর্ণ বিজেপি
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দলকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশের শাসন ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। অথচ খাস দিল্লিতেই বিধানসভা ভোটের আগে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
পনেরো বছর দিল্লিতে ক্ষমতার বাইরে বিজেপি। যাবতীয় জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত, তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতই চতুর্থ বার কুর্সি দখলে রাখছেন।
রাজনাথ সিংহ দলের সভাপতি হওয়ার পর দিল্লির দায়িত্ব তুলে দেন তাঁর অনুগত বিজয় গোয়েলের হাতে। কিন্তু গোয়েল যেমন শীলার বিকল্প মুখ হয়ে উঠতে পারেননি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও বেড়েছে তাঁর নানা কাজে। এই পরিস্থিতে সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলি, নিতিন গডকড়ীরা চাইছেন বিজয় গোয়েলকে সরিয়ে অন্য কারওকে দিল্লির দায়িত্ব দিতে। কিন্তু অনড় রাজনাথের যুক্তি, নভেম্বরেই ভোট। গোয়েলকে এখন বদলালে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়বে বই কমবে না।
এই পরিস্থিতিতে আজ বিজয় গোয়েলের অনুগত সুধাংশু মিত্তল দিল্লির নির্বাচন সেলের আহ্বায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। দলীয় সূত্রের মতে, গোয়েল-মিত্তল অক্ষের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ দলের অন্য গোষ্ঠীর নেতার। গোয়েলের উপরে যাতে তার আঁচ না আসে, সে জন্যই ইস্তফা দিলেন মিত্তল। কিন্তু অনেকের আশঙ্কা, এর পরেও দিল্লি বিজেপিতে কলহ কমবে না। কারণ আর যা-ই হোক, বিজয় গোয়েলকে শীলা দীক্ষিতের বিকল্প মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরা সম্ভব নয়। এ জন্য নতুন মুখ দরকার।
আপাত ভাবে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতা হর্ষবর্ধনকে দলের মুখ করার কথা বিবেচনা করছে বিজেপির জাতীয় নেতৃত্ব। কিন্তু তাতেও সায় নেই গোয়েলের। সে জন্য নরেন্দ্র মোদীকে যে ভাবে জাতীয় প্রচার কমিটির প্রধান করে লোকসভা ভোটে দলের অঘোষিত মুখ করা হয়েছে, একই কায়দায় হর্ষবর্ধনকেও এমন কোনও পদে এনে দিল্লি বিধানসভার জন্য অঘোষিত মুখ করা হতে পারে।
বিজেপির এক শীর্ষ নেতার কথায়, “সামনে যে ক’টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, তার মধ্যে দিল্লির জয়-পরাজয়টা লোকসভা ভোটে অনেকটা প্রভাব ফেলে। সুতরাং তিন মাসের মধ্যে বিবাদ না থামলে বিজেপিকে লোকসভাতেও খেসারত দিতে হবে।” |
|
|
|
|
|