নিকাশি নালা সংস্কার কবে হয়েছে মনে করতে পারছেন না এলাকাবাসী। ফলে বর্ষার সময় তো বটেই বছরের অন্য সময়ও নোংরা আবর্জনা জমে বন্ধ হয়ে যাওয়া নিকাশি নালা উপছে রাস্তায় উঠে আসছে জল। জমা জল সরতেই কাদাজলে পা ঢুকে যায়। এমন দুর্ভোগের পরও প্রায় ছ-মাস যাবত এলাকার আবর্জনা ফেলার জায়গা পরিষ্কার করেনি পুরসভা। ফলে দুর্গন্ধময় পরিবেশে তো বটেই, বাড়ির সামনে কাদাজলে পরিপূর্ণ রাস্তার জন্য কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় রামপুরহাট পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের লোটাস প্রেস মোড়গলির দশটি পরিবার রয়েছেন। |
বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরপ্রধানকে একাধিকবার জানিয়েও কাজ হচ্ছে না। এলাকার বাসিন্দা সন্ধ্যা সিংহ, শুভ্রা ঘোষালদের ক্ষোভ, “বাড়ির সামনে জমে থাকা জল কাদার রাস্তায় বেরতে পারছি না। দুর্গন্ধে দরজা বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছি। নতুন নিকাশি নালা করতে গিয়ে রাস্তার উপর এখনও ভাঙা ইট, পাথর পড়ে আছে।” তৃণমূল পরিচালিত রামপুরহাটের পুরপ্রধান অশ্বিনী তিওয়ারির দাবি, “এলাকায় নিজে গিয়ে দেখেছি। খুব শীঘ্রই নিকাশি নালা সংস্কার ও জমা জঞ্জাল পরিষ্কার করা হবে।”
অন্য দিকে, ইলামবাজার থানার রামনগরে শ্মশান লাগোয়া কালীতলা এলাকায় ‘বেআইনি ভাবে’ একটি আবাসন প্রকল্পের নিকাশি নালা করার অভিযোগ তুলে বুধবার বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। বন্ধ করে দেন নিকাশি নালার কাজও। বোলপুরের মহকুমাশাসক প্রবালকান্তি মাইতি অবশ্য বলেন, “কোন অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইলামবাজার থানা এলাকার রামনগর লাগোয়া এলাকায় একটি নতুন আবাসন প্রকল্প গড়ে উঠেছে। অভিযোগ, পাশেই শতাব্দী প্রাচীন রক্ষাকালীতলা মন্দির ও শ্মশান রয়েছে। |
এই নিকাশি নালা নিয়ে বিক্ষোভ ইলামবাজারে। |
অথচ বেআইনি ভাবে তার পাশ দিয়ে ওই আবাসন প্রকল্পের জন্য নিকাশি নালা করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে এ দিন সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ ঘোষ, তপন গোস্বামী, সোমা মুর্মুদের অভিযোগ, “শতাব্দী প্রাচীন ওই শ্মশানের ওপর আশপাশের প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে। পাশে রয়েছে ধর্মস্থানও। এমন অবস্থায় ওই এলাকায় গড়ে ওঠা একটি আবাসন প্রকল্পের নিকাশি নালার কাজ করা হচ্ছে। অবিলম্বে ওই কাজ বন্ধের দাবিতে আমরা এ দিন বিক্ষোভ দেখিয়েছি। নিকাশি নালার কাজও বন্ধ করা হয়েছে।”
নিকাশি নালা তৈরির কাজে যুক্ত শ্রমিকেরা জানান, ওই আবাসন প্রকল্পের মালিক মানব পালকে জানিয়ে আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। বহু চেষ্টা করেও মানববাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাইনি।
|