প্রার্থী পছন্দ নয়, মিছিল-বিক্ষোভ তৃণমূলে
নোনয়ন পেশ করা নিয়ে ফের তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল বর্ধমান ও গুসকরা পুরসভায়। বর্ধমানের তিনটি ওয়ার্ডে দলের প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় কোথাও বিক্ষোভ, কোথাও মিছিল করল তৃণমূলের একাংশ। গুসকরায় ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টিতে তৃণমূলের একটি গোষ্ঠীর প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিলেন। অপর গোষ্ঠীর দাবি, দলের উচ্চ নেতৃত্বের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী তারা আজ, বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেবে।
বর্ধমানের ৩৫টি ওয়ার্ডের প্রার্থীদের মিছিল করে গিয়ে বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা ছিল। সোমবার সেই ৩৫ জন প্রার্থীর নাম জানিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা নেতা মলয় ঘটক। কিন্তু এ দিন ওই ৩৫ জনের মধ্যে ২৭ জন মনোনয়ন জমা দিলেন। বাকি আট জনের দেখা মেলেনি। অনুপস্থিতদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের তিন সদ্য প্রাক্তন কাউন্সিলর সমীর রায়, রত্না রায় ও খন্দেকার মহম্মদ সহিদুল্লাহ। ছিলেন না ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে দলের মনোনীত প্রার্থী ইফতিকার আহমেদ ওরফে পাপ্পুও এ দিন মনোনয়ন জমা দিতে আসেননি। মঙ্গলবার রাতেই তাঁকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ওই ওয়ার্ডে মিছিল করেন প্রায় পাঁচশো তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ বাদশা।

মনোনয়ন জমা তৃণমূল প্রার্থীর। বৃহস্পতিবার বর্ধমানে।—নিজস্ব চিত্র।
এ দিন ওই ২৭ জন প্রার্থী ছাড়াও দলের তালিকায় নাম না থাকা আরও চার জন তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে দু’জন এবং ২২ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে এক জন করে তৃণমূলের অতিরিক্ত প্রার্থীর মনোনয়ন জমা পড়েছে। ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডেও দলের মনোনীত প্রার্থী জয়ন্ত দত্ত ও সুতপা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন দলেরই কিছু লোকজন। তাঁদের দাবি, ওই দু’জন গোড়া থেকে দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। বিধানসভা ভোটের পরে দলে যোগ দিয়ে পুরভোটের টিকিট পাচ্ছেন। তাই তাঁদের বাতিল করার দাবি তোলেন ওই সব তৃণমূল কর্মীরা। তবে ওই দুই প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। বিক্ষোভ বা মিছিল প্রসঙ্গে তৃণমূলের এই সব প্রার্থীরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এ দিন তৃণমূলের মনোনয়ন জমা দেন, স্বরূপ দত্ত, সুশান্ত ঘোষ, পরেশ সরকার, খোকন দাস, শিবশঙ্কর ঘোষ, জয়ন্ত দত্ত, জয়দেব মুখোপাধ্যায়, সেলিম খান প্রমুখ। তবে জয়দেববাবুর নাম মলয়বাবুর ঘোষিত তালিকায় ছিল না। তবু তিনি ২১ নম্বর ওয়ার্ডে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এই ওয়ার্ডে দলের ঘোষিত প্রার্থী সুনীল সাউ এ দিন মনোনয়ন দিতে যাননি। তৃণমূলের জামালপুরের বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামাণিকের ভাই সুশান্ত প্রামাণিক এ দিন মনোনয়ন জমা দেন। উজ্জ্বলবাবুর বক্তব্য, “২৩ অগস্ট দলীয় প্রতীক জমা দেওয়ার শেষ দিন। যাঁরা ওই দিন প্রতীক পাবেন, তাঁরাই দলের আসল প্রার্থী।” এ দিন বর্ধমানে এমন চার জন নির্দল প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন যাঁরা তৃণমূলের পুরনো কর্মী বলেই এলাকায় পরিচিত। ফলে, পঞ্চায়েত ভোটের মতো পুরভোটেও তৃণমূলেরই দ্বন্দ্বে অনেক নির্দল বা গোঁজ প্রার্থীর দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
গুসকরায় তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন পুরপ্রধান চঞ্চল গড়াইয়ের অনুগামীরা এ দিন কোনও মনোনয়ন পেশ না করলেও দলে তাঁর বিরোধী হিসেবে পরিচিত নিতাই চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীরা ১০টি ওয়ার্ডে মনোনয়ন দেন। নিতাইবাবুর দাবি, দলের রাজ্য নেতাদের নির্দেশেই ওই দশ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। চঞ্চলবাবুর আবার বক্তব্য, “আমার কাছে দলের তরফে যে তালিকা পৌঁছেছে, তাঁদের নিয়ে বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.