অভিযান চলবে, বললেন মন্ত্রী
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
স্কুলের পড়ুয়াদের অসুবিধা না করে বেআইনি স্কুলগাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। সোমবার মহাকরণে এ কথা জানান পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। তিনি বলেন, “স্কুলের সময়ে বেআইনি স্কুলগাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালালে অযথা বিশৃঙ্খলা হবে। তাই অন্য সময়ে অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” রবিবার স্কুলবাস মালিকদের সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল কন্ট্র্যাক্ট ক্যারেজ ওনার্স অ্যান্ড অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকের পরে বেআইনি স্কুলগাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর কথা ঘোষণা করেন মন্ত্রী।কিন্তু পরিবহণমন্ত্রীর অবৈধ স্কুলগাড়ি ধরপাকড়ের ঘোষণার বিরোধিতা করে স্কুলগাড়ি মালিকদের সংগঠন পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। এ দিন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পরে ওই সংগঠনের নেতা আবির রায় বলেন, “আলোচনায় আমরা সন্তুষ্ট। মন্ত্রী কথা দিয়েছেন, ম্যাজিক গাড়ি ফের পারমিট পাবে। ২০০৩-এর ১ জানুয়ারির পরের সব গাড়িকেই পারমিট দেওয়া হবে।” |
বিরোধী দলনেতা নিয়ে পাল্টা চিঠি দেবে বামফ্রন্ট |
বিধানসভার বিরোধী দলনেতার পদের জন্য যে দাবি কংগ্রেস তুলেছে, তার পাল্টা বক্তব্য জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দিচ্ছে বামফ্রন্টও। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের ওই দাবির ব্যাপারে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রকে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার সূর্যবাবুর উপস্থিতিতেই বামফ্রন্টের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, স্পিকারের চিঠির জবাবে জানিয়ে দেওয়া হবে, বামফ্রন্টের সব শরিক দল অভিন্ন ইস্তাহার নিয়ে গত ৩৬ বছর ধরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বামফ্রন্ট একটি ‘পক্ষ’ হিসাবেই বিধানসভা নির্বাচনে লড়ে। সেখানে পৃথক ভাবে সিপিএমের কত জন বিধায়ক তা বিচার্য নয়। বিধানসভায় এখন সিপিএমের বিধায়ক সংখ্যা ৩৯। কংগ্রেসের ৪০। সেই তথ্য তুলে ধরেই কংগ্রেস বিরোধী দলনেতার পদ দাবি করে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছে। ফ্রন্টের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সূর্যবাবু ছাড়াও প্রাক্তন স্পিকার হাসিম আব্দুল হালিম এবং প্রাক্তন পরিষদীয় মন্ত্রী প্রবোধ সিংহ মিলে স্পিকারের চিঠির জবাব তৈরি করবেন। তবে বিধানসভা সূত্রের খবর, এই ব্য্যাপারে দু’পক্ষকে ডেকে শুনানির দিন এখনও ঠিক হয়নি। প্রসঙ্গত, এ দিন বামফ্রন্টের বৈঠকে এসেছিলেন নকশাল নেতা অসীম চট্টোপাধ্যায়।
|
শিখা-মামলা দ্রুত মেটানোর নির্দেশ |
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দলীয় বিধায়ক শিখা মিত্র যে মানহানির মামলা করেছিলেন, তার দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করায় পার্থবাবু তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছিলেন বলে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে মানহানির মামলা করেন শিখাদেবী। তিনি মন্ত্রী হওয়ায় রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চালানো যাবে না বলে দাবি করে পার্থবাবু হাইকোর্টে যান। জুনে স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল সাংসদ সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখাদেবী। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি এস চহ্বাণ এবং এস এ বোবদের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়। শিখাদেবীর আইনজীবী পীযূষ রায় বলেন, “স্থগিতাদেশ খারিজের জন্য দিন দশেকের মধ্যে হাইকোর্টে আবেদন করা হবে।” সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে খুশি শিখাদেবীর বক্তব্য, “শীর্ষ আদালতের এই রায়ই আমার প্রাথমিক ও নৈতিক জয়।” পার্থবাবু এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। তবে তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, মন্ত্রী নয়, তৃণমূলের মহাসচিবের বিরুদ্ধে যিনি মামলার কথা বলছেন, তিনিই বুঝিয়ে দিচ্ছেন দলে বিরোধ বাধানোই তাঁর লক্ষ্য! |
মাঝখানে মিইয়ে গেলেও মৌসুমি বায়ু ফের তেড়েফুঁড়ে উঠেছে। আর টানা বৃষ্টির জেরে রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা কমে গিয়েছে প্রায় ৫৩০ মেগাওয়াট। রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবারেও সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার এলাকায় বিদ্যুতের মোট চাহিদা ছিল ৫,৪০০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি। কিন্তু তার পর থেকে রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই একটানা বর্ষণে সোমবার সেই চাহিদা কমে হয়েছে ৪,৮৭০ মেগাওয়াট। তাই রাজ্যের প্রায় সব তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রেই উৎপাদন কমিয়ে অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে। বণ্টন সংস্থার এক কর্তা জানান, ফি-বছরই বর্ষায় বিদ্যুতের চাহিদা কমে যায়। কিন্তু এ বার সময়মতো ভাল বৃষ্টি না-হওয়ায় কোনও কোনও জেলায় ধান চাষের জন্য অনেক বেশি বিদ্যুতের প্রয়োজন দেখা দেয়। আবার তুমুল বর্ষণের ফলে বিদ্যুতের চাহিদা কমেছে অনেকটাই। |