রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ডিজি উপস্থিত না হওয়ায় ১২টি পুরসভা ভোটের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা বিশেষ এগোল না।
সুষ্ঠুভাবে পুর নির্বাচন করতে ৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সরকারের ওই দুই শীর্ষ কর্তা অন্য কাজ থাকায় আসতে পারছেন না বলে কমিশনারকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন।
তবে এ দিন কমিশনে গিয়ে সচিব তাপস রায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্র দফতরের ওএসডি নীরজনয়ন পাণ্ডে এবং আইজি (আইন-শৃঙ্খলা) অনুজ শর্মা। তাপসবাবু জানান, বর্ধমান, পানিহাটি, হাবড়া ও চাকদহে গোলমালের আশঙ্কা আছে বলে তাঁদের ধারণা। তাই ওই এলাকাগুলিতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া থেকে প্রচারপর্ব পর্যন্ত অতিরিক্ত ১ কোম্পানি করে পুলিশ দিতে বলেছে কমিশন। পাশাপাশি, কমিশন বিশেষ নজরে রেখেছে দুবরাজপুর, গুসকরা ও ডালখোলা পুর নির্বাচনকে। ওই তিনটি পুরসভায় আধ কোম্পানি করে অতিরিক্ত পুলিশ দিতে বলা হয়েছে।
পঞ্চায়েতের মতো পুর নির্বাচনের প্রচারেও বাইক বাহিনী নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। পুলিশকে বলা হয়েছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় মহকুমাশাসকের অফিসে নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। মহকুমাশাসকের অফিসের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও রাজনৈতিক দলকে বুথ করতে দেওয়া যাবে না।
নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, দুই পুলিশ কর্তার সঙ্গে বৈঠকে ঠিক হয়েছে একটি বাড়িতে এক বা দু’টি বুথ থাকলে ২ জন করে সশস্ত্র এবং লাঠিধারী পুলিশ থাকবে। বুথের সংখ্যা বাড়লে পুলিশের সংখ্যাও বাড়বে। তাঁদের নেতৃত্বে থাকবেন এক জন এসআই বা এএসআই।
পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি জানিয়ে এ দিন কলকাতা হাইকোটে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। আবেদনকারী বাসবী রায়চৌধুরীর দাবি, রাজ্যের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া কোনও নির্বাচন করা সম্ভব নয়। |