অভিযোগ তাঁরই বিরুদ্ধে। তবু তৃণমূল বিধায়ক শিখা মিত্রের দায়ের করা মানহানির মামলার শুনানিতে হাজির হলেন না দলেরই শীর্ষ নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে ওই মামলার শুনানি ছিল। আদালত জানায়, শুনানিতে হাজির থাকার জন্য পার্থবাবুকে যে-সমন পাঠানো হয়েছিল, সেটি তিনি নিজে সই করে গ্রহণ করেননি। তাই তাঁর কাছে নতুন সমন পাঠানো হোক। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৪ জুন।
প্রাক্তন ও প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন উপলক্ষে ২০১২ সালের ১ জুলাই শিখাদেবীর প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যালয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে পার্থবাবুর একটি মন্তব্য পরের দিন একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে পার্থবাবুর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন শিয়ালদহ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক শিখাদেবী। এ দিন পার্থবাবু যেমন আদালতে হাজির হননি, তেমনই যিনি মানহানির মামলা দায়ের করেছেন, সেই শিখাদেবীও আসেননি।
শিখাদেবীর আইনজীবী সুশান্ত দত্ত এ দিন ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক জয়প্রকাশ রায়ের এজলাসে জানান, পার্থবাবুর মন্তব্য যে-সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল, তার সম্পাদক ও প্রকাশকের (একই ব্যক্তি) বিরুদ্ধেও মানহানির মামলা দায়ের হয়েছে। সম্পাদকের পক্ষে তাঁর আইনজীবী আদালতে হাজিরও হয়েছেন। কিন্তু পার্থবাবুর পক্ষে তাঁর আইনজীবীও হাজির হননি। এই পরিস্থিতিতে পার্থবাবুকে আদালতে হাজির করানোর জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা যেতে পারে কি না, বিচারককে তা বিবেচনা করে দেখতে আবেদন জানান সুশান্তবাবু। সংবাদপত্রের সম্পাদকের আইনজীবী তখন বিচারককে জানান, তিনি পার্থবাবুর আইনজীবী নন। তবে আদালতকে তিনি জানাতে চান, পার্থবাবু বিধানসভার সদস্য। বিধানসভার কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে হলে স্পিকারের অনুমতি আবশ্যক।
|