সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। আগে থেকে ঠিক করা ছিল না। বিরোধিরা দাবি করেছিলেন, এমনও নয়। সোমবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই রাজ্যসভায় এক বিবৃতি দেন অ্যান্টনি। নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রায় প্রতি দিনই সংঘর্ষবিরতি ভাঙছে পাক সেনা। এমনকী আজও তা অব্যাহত ছিল। এ ছাড়া গত ৬ অগস্ট তারা পুঞ্চে পাঁচ জন ভারতীয় সেনাকে হত্যা করেছে। এই সবের কড়া নিন্দা করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “ভারত সংযত আচরণ করছে বলে পাকিস্তান যেন সেটাকে দুর্বলতা বলে ধরে না নেয়।”
শুধু সন্ত্রাসবাদীদের না দুষে এ দিন তিনি সরাসরি আঙুল তোলেন পাক সেনার বিরুদ্ধেই। তাঁর কথায়, “এটা কারও অজানা নয় যে পাক সেনার সমর্থন ও সহযোগিতা ছাড়া নিয়ন্ত্রণরেখায় হামলা বা অনুপ্রবেশের মতো ঘটনাগুলি ঘটতে পারে না।” পুঞ্চে জওয়ানদের হত্যার পরপর অ্যান্টনির বিবৃতি নিয়ে প্রচুর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল, পাক সেনার দিকে আঙুল না তুলে তিনি স্রেফ জঙ্গিদের দিকে আঙুল তুলেছেন। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মতো তিনি। পরোক্ষে বিরোধীদের অভিযোগ নস্যাৎ করতেই অ্যান্টনি নিজে থেকে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে নিয়ন্ত্রণ রেখার পরিস্থিতিও এই বিবৃতির বড় কারণ। সেনাপ্রধান জেনারেল বিক্রম সিংহ আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সেখানকার পরিস্থিতির কথা তাঁকে জানিয়েছেন। সামরিক সূত্রের খবর, আজ সকাল থেকে ফের পাক সেনা নিয়ন্ত্রণরেখার ও পার থেকে পুঞ্চ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গোলাগুলি বর্ষণ করেছে। হামিরপুর ও বালাকোট এলাকায় প্রচুর গোলাগুলি-মর্টার ছোড়া হয়েছে ও পার থেকে। রকেট ও মর্টার ছোড়া হয়েছে মানকোট ও মেন্ধারের বসতি এলাকাগুলি তাক করেও। তবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। নিয়ন্ত্রণরেখার লাগোয়া গ্রামগুলিতে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরিই পাক সেনার লক্ষ্য বলে দাবি করেছেন সামরিক ওই মুখপাত্র। ন’দিনে এই নিয়ে ১৫ বার সংঘর্ষবিরতি ভাঙল পাক সেনা। চলতি বছরে মোট ৭১ বার এই কাজ করেছে তারা। গত বছরের এই সময়ের তুলনায় সংখ্যাটা ৮৫ শতাংশ বেশি।
|