|
|
|
|
কংগ্রেসকে আটকাতে জোট তৃণমূল-বিজেপি-সিপিএমে
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
ত্রিশঙ্কু তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে কংগ্রেসকে আটকাতে হাত মেলানোর অভিযোগ উঠল সিপিএম, তৃনমূল ও বিজেপি’র বিরুদ্ধে। শনিবার মালদহের চাঁচল-১ ব্লকের চাঁচল, কলিগ্রাম ও অলিহন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয়। ১৯৭৭ সালের পর এবারই প্রথম কলিগ্রাম হাতছাড়া হল কংগ্রেসের। ৩ দশক বাদে হাতছাড়া হয়েছে চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতও। দুটিতেই বিজেপি-র প্রধান নির্বাচিত হন। আর অলিহন্ডায় তৃণমূলকে নিয়ে বোর্ড গঠন করেছে সিপিএম। নির্দেশ অমান্য করে স্থানীয় স্তরে ওই জোট হয়েছে বলে দাবি সিপিএম নেতৃত্বের। বিজেপি ও তৃনমূল কংগ্রেসকে রুখতে ওই পথে হেঁটেছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে। চাঁচল-১ ব্লকের ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতই কংগ্রেসের ৮টি দখলে ছিল। এ বার ভগবানপুর, খরবা, মহানন্দপুর. মতিহারপুর ও মকদমপুর পঞ্চায়েত একক ভাবে ক্ষমতা দখল করে সিপিএম। ত্রিশঙ্কু তিনটির মধ্যে ২৩ আসনের চাঁচল পঞ্চায়েতে কংগ্রেস ১১, বামফ্রন্ট ৮, তৃনমূল ২ ও বিজেপি ২টি আসন পায়। আবার ১৫টি আসনের কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেস ৫, বিজেপি ৫, সিপিএম ৩, তৃনমূল ১ ও তৃনমূল সমর্থিত নির্দল ১টি আসন পেয়েছে। ১৩টি আসনের অলিহন্ডায় কংগ্রেস ও সিপিএম ৬টি করে ও তৃনমূল ১টি আসন পায়। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, গত শনিবার ৫টিতে একক ভাবে বোর্ড গঠন করে সিপিএম। কিন্তু কলিগ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রধান পদপ্রার্থী রতন দাসকে সমর্থন করে সিপিএম ও তৃণমূল। চাঁচল পঞ্চায়েতে প্রধান হন বিজেপি-র আদর্শ রাম। তাঁকে সমর্থন করে বামফ্রন্ট ও তৃনমূল। উপপ্রধান তৃণমূলের আবেদ আলিকে সমর্থন করেন বাম ও বিজেপি। অলিহন্ডায় বোর্ড গড়েছে সিপিএম ও তৃণমূল। সেখানে প্রধান হন সিপিএমের রেখা গুপ্ত ও উপপ্রধান হন তৃণমূলের মিনা বিবি। কংগ্রেসের চাঁচল ১ ব্লকের সাধারণ সম্পাদক ইনতাজ হোসেন বলেন, “সিপিএম, তৃনমূল বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক বলে গলা ফাটায়। যা হল তা চরম সুবিধাবাদী রাজনীতি ছাড়া কিছু নয়। মানুষ দেখল কী হল।” |
|
|
|
|
|