বছর ঘোরে। বর্ষা আসে-যায়। কিন্তু উলুবেড়িয়া হাসপাতালের বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার কোনও পরিবর্তন হয় না। এ বার সেই অব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পূর্ত দফতরের চাপান-উতোর।
হাসপাতালের চারদিকে সারা বছরই জমে থাকে জল। ফলে, রোগী ও তাঁদের আত্মীয়স্বজন যেমন যাতায়াতের সমস্যায় পড়ছেন, তেমনই উৎপাত বাড়ে মশারও। এ বারেও বর্ষার বিভিন্ন জায়গায় জমেছে জল। রোগীদের মশার হাত থেকে বাঁচতে ব্যবহার করতে হচ্ছে ধূপ। মহকুমার বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর থেকেও অসংখ্য রোগী প্রতিদিন আসেন এই হাসপাতালে। কিন্তু রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের অভিযোগ, হাসপাতালের চারপাশের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর নেই কর্তৃপক্ষের। যত্রতত্র পড়ে থাকা ময়লা নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। উপযুক্ত নিকাশির অভাবে বহুদিন ধরে জমে থাকে নোংরা জল। হাসপাতালের নালাগুলিও সংস্কার করা হয় না। হাসপাতালের কর্মীদের একটি অংশ স্বীকার করেছে, যে পরিমাণ সাফাইকর্মী প্রয়োজন তা না থাকায় আবর্জনা নিয়মিত পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। |
হাসপাতালের একদিকে চলছে নতুন ভবন নির্মাণ। এই নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে পূর্ত দফতর। সেই কাজের জন্য প্রতিদিনই হাসপাতালে ঢোকে বড় বড় গাড়ি। আর তার জন্যই রাস্তায় বড় গর্ত হয়ে জল জমছে বলে পূর্ত দফতরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন হাসপাতালের সুপার তপন পালিত। তিনি বলেন, “জল জমে থাকার বিষয়ে পূর্ত দফতরকে বলেছি। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ওরা চারিদিকে খোঁড়াখুঁড়ি করছে বলেই এত জল জমছে।” তবে, হাসপাতালে জমে থাকা ময়লা নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় বলে তিনি দাবি করেছেন।
পক্ষান্তরে, হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ার বিবেকানন্দ সামন্ত বলেন, “আমাদের কাজ করার জন্য কোনও রকম জল জমেনি। হাসপাতালের চারপাশের জমি নিচু। সঠিক নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার জন্যই জল জমে থাকে।”
এই অব্যবস্থা থেকে মুক্তি কবে মিলবে এখন সেই প্রশ্নই তুলছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়েরা। |