বনধে বিপাকে পরীক্ষার্থীরাও
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
পাহাড়ে হুটহাট করে বন্ধ ডাকা হচ্ছে দেখে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি স্থানান্তরিত হওয়ায় বিপাকে পড়লেন সেখানকার অনেক পরীক্ষার্থী। রবিবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশের ‘এসআই’ এবং ‘লেডি এসআই’ পদের জন্য বিভিন্ন জেলায় পরীক্ষা কেন্দ্র হয়। সেই মতো পাহাড়ের ৩টি মহকুমায় ৮টি কেন্দ্র করা হয়েছিল। পাহাড়ে আচমকা বন্ধ হচ্ছে দেখে কেন্দ্রগুলি বদলে শিলিগুড়ির দু’টি স্কুলে স্থানান্তরিত হয়। যদিও রবিবার পাহাড়ে বন্ধ ছিল না। কিন্তু সেই আশঙ্কায় পাহাড়ে পরীক্ষার্থীদের ওই দুটি কেন্দ্রে ভাগ করে দেওয়া হয়। শেষ বেলায় তা জেনে অনেক পরীক্ষার্থী নির্দিষ্ট সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেননি। কোন কেন্দ্রে কার আসন পড়েছে পরীক্ষার্থীদের তা নিয়েও বিভ্রান্তির মধ্যে পড়তে হয়। বেলা ১২ টা থেকে পরীক্ষা শুরু হলেও অনেকে ২০-৩০ মিনিট পরে কেন্দ্রে পৌঁছন। পাহাড়ে হুটহাট বন্ধ ডাকার জেরে এই সমস্যায় পরীক্ষার্থীদের অনেকেই ক্ষুব্ধ। অনেকে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন। আবার অনেকে প্রকাশ্যে না বললেও আড়ালে বিরোধিতা করেছেন। নিয়ম অনুসারে এ ধরনের পরীক্ষা শুরু আগেই কেন্দ্রে প্রার্থীদের উপস্থিত হতে হয়। দেরিতে পৌঁছলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয় না। কিন্তু কেন্দ্র বদল হওয়ায় পাহাড় থেকে আসতে পরীক্ষার্থীদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে এ দিন তাদের ছাড় দেওয়া হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দার্জিলিং জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬০৮৬। |
|
‘এসআই’ এবং ‘লেডি এসআই’ পদের পরীক্ষা দিতে ভিড়। সুকনার কাছে। |
তার মধ্যে পাহাড়ের ৩ মহকুমায় পরীক্ষার্থী ৩৮৯৫। পাহাড়ের পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল দার্জিলিং গর্ভমেন্ট কলেজ, সাউথ ফিল্ড কলেজ, সেন্ট রবার্ট হাই স্কুল-সহ মোট আটটি কেন্দ্রে। পরে শিলিগুড়ি দিল্লি পাবলিক স্কুলে ৩০০০ জন এবং মার্গারেটে বাকিদের পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়।
এ দিন আধ ঘণ্টা দেরিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছন মংপুর বাসিন্দা বিপুল থাপা। রাস্তায় ধস নামায় গাড়ি আসতে দেরি হয় বলে জানান বিপুল। তিনি বলেন, “আচমকা বন্ধ হচ্ছে দেখে পরীক্ষাকেন্দ্র পরিবর্তন করায় এই সমস্যা হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল দার্জিলিং-এর সেন্ট জোসেফ কলেজে। অথচ এ ভাবে হয়রান হতে হল।” দার্জিলিং থেকে আসা বিন্ধ্যা মুখিয়া এবং অঞ্জু প্রধান পরীক্ষা কেন্দ্র খুঁজতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল হন। রবিবার সকালেই গাড়ি ভাড়া করে দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়িতে আসেন তাঁরা। প্রথমে যান সুকনার কাছে দিল্লি পাবলিক স্কুলে। সেখানে নিজেদের রোল নম্বর খুঁজে না পেয়ে আসেন প্রধাননগরের মার্গারেট স্কুলে। সেখানেও তাঁদের নম্বর পাওয়া যায়নি। শেষে পুলিশের সহায়তায় জানতে পারেন দিল্লি পাবলিক স্কুলের ৪৯ নম্বর রুমে তাঁদের আসন পরেছে। ফের সেখানে পৌঁচতে ১২টা পেরিয়ে যায়। |
|