পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের আগে ইন্দাসের কিছু এলাকায় বোমাবাজি ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলল সিপিএম। আজ, সোমবার ইন্দাস-সহ বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হওয়ার কথা। ইন্দাসের রোল, দীঘলগ্রাম, আকুই ২ ও মঙ্গলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কোনও দলই একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তার মধ্যে তিনটি পঞ্চায়েত এলাকায় বোর্ড দখলের জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে গণ্ডগোল পাকানোর অভিযোগ করে সিপিএম।
সিপিএমের ইন্দাস জোনাল কমিটির সম্পাদক অসীম দাসের অভিযোগ, “রোল, দীঘলগ্রাম ও মঙ্গলপুর পঞ্চায়েত দখল করার জন্য শনিবার রাতভর এলাকায় যথেচ্ছ বোমাবাজি করে তৃণমূল আশ্রিত দূষ্কৃতীরা। রোল পঞ্চায়েতের আমাদের দলের জয়ী সদস্য মাধবী খাঁ-র বাড়িতে আগুন লাগায়। দীঘলগ্রাম ও মঙ্গলপুর পঞ্চায়েতের আমাদের দুই সদস্যকে ওরা গোপন জায়গায় আটকে রেখেছে। তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি রবিউল হোসেনের নেতৃত্বে এ সব হচ্ছে।” উল্লেখ্য ওই চারটি পঞ্চায়েতে বোর্ড কার দখলে থাকবে তা নির্ভর করছে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নির্দল সদস্যদের উপর। দীঘলগ্রাম ও আকুই ২ পঞ্চায়েতে ৬ জন নির্দল সদস্য সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সেখানে তৃণমূলের বোর্ড গঠনের সম্ভাবনা বেশি। রোল পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৭টি, সিপিএম ৬টি ও নির্দলের দু’জন জিতেছেন। মঙ্গলপুর পঞ্চায়েতের ১৪টি আসনের মধ্যে সিপিএম ৫টি, তৃণমূল ৩টি ও নির্দলরা ৬টিতে জয়ী হয়েছেন। মঙ্গলপুরে তিন নির্দল সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি তৃণমূল। তৃণমূল নেতা রবিউল হোসেনের দাবি, “রোলে আমাদের কর্মীকে সিপিএম মারধর করেছে। ওদের তিন পঞ্চায়েত সদস্য আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন।” |