সিপিএমের এক নেতার খোঁজে রবিবার বলরামপুরে দিনভর বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দু’টি পিকআপ ভ্যান বোঝাই হয়ে তৃণমূলের সশস্ত্র কর্মীরা বলরামপুরে লার্জ সাইজড কো-অপারেটিভ এগ্রিমার্কেটিং সোসাইটির কার্যালয়, সিপিএমের জোনাল অফিস ও ওই নেতার এক আত্মীয়ের দু’টি ক্রাশারে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। সিপিএম নেতৃত্ব ও ওই এগ্রিমার্কেটিং সোসাইটির চেয়ারপার্সন পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে দু’টি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। যদিও বলরামপুরের বিধায়ক তথা জলা তৃণমূল সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর দাবি, “বলরামপুরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখব।” |
বলরামপুরের সাতটি পঞ্চায়েতের মধ্যে ছ’টি পঞ্চায়েত দখল করলেও শুধু বলরামপুর পঞ্চায়েতটি জিততে পারেনি তৃণমূল। এখানেই ওই সোসাইটির কার্যালয়ের একাংশে সপরিবারে বাস করেন এলাকার প্রভাবশালী সিপিএম নেতা তথা দলের জোনাল কমিটির সদস্য ত্রিলোচন দাস। আগে তিনি সোসাইটির চেয়ারম্যান ছিলেন, এখন ওই পদে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ছায়ারানি দাস। ওই সোসাইটি দীর্ঘদিন ধরে সিপিএমের দখলে রয়েছে। রাজ্য সরকার বদলের পরেও ওই সোসাইটির নির্বাচন হয়নি। ত্রিলোচনবাবুর অভিযোগ, “সোসাইটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমি সোসাইটির গুদামঘরের উপর একটি ঘরে থাকি। ওই ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সৃষ্টিধর মাহাতো-সহ কিছু তৃণমূল নেতা-কর্মী আমাদের হুমকি দিয়ে যায়। এ দিন আমার অনুপস্থিতিতে ওরা ওই ঘরে গিয়ে হামলা চালায়।” তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, “এ দিন তৃণমূলের পরিচিত কিছু লোকজন এসে স্বামীর নাম ধরে ডাকাডাকি করতে থাকে। ভয়ে দরজা বন্ধ করে দেওয়ায় ওরা নীচে রাখা মোটরবাইক ও সাইকেল ভেঙে কুয়োয় ফেলে দেয়।” আমারু ও ধাদকিডি গ্রামে ত্রিলোচনবাবুর এক আত্মীয়ের দু’টি ক্রাশারে গিয়েও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ।
সিপিএমের বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা দলের জোনাল সদস্য কোকিল রজকের দাবি, “শেষে তৃণমূলের ওই বাহিনী বলরামপুরের চকবাজার মোড়ের কাছে দলের জোনাল কার্যালয়ে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। কাগজপত্র তছনছ করে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণীন্দ্র গোপ বলেন, “তৃণমূল বলেছিল বদলা নয়, বদল চাই। এই সন্ত্রাস প্রমাণ করল ওসব কথা স্রেফ ভণ্ডামি।” তৃণমূলের বলরামপুর ব্লক সভাপতির দাবি, “আমি ওই সোসাইটির সদস্য। নাম মাত্র ভাড়ায় তাঁরা ওখানে বাস করছেন। তাই ওই ঘর ছাড়তে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা জোর করে ওই ঘর দখল করে রয়েছে। ওখানে ছোটখাটো কোনও গণ্ডগোল হয়েছে বলে শুনেছি। তবে আমাদের দলের কেউ ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত নয়। যদি কিছু হয়, তা জনরোষ। |