বাস ও পাথরবোঝাই একটি লরির সংঘর্ষে মৃত্যু হল তিনজনের। রবিবার সকালে গাংনাপুরের ঘাটিগাছায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত তিনজনের মধ্যে পরিচয় জানা গিয়েছে একজনের। তন্ময় পাল (৩২) নামে ওই ব্যক্তি বারাসতের বাসিন্দা। তিনি ব্যারাকপুরের একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের মাইক্রোবায়োলজির শিক্ষক ছিলেন। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩১ জন। এর মধ্যে ১৭জনকে রানাঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ১৪ জনকে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। রানাঘাটের এসডিপিও আজহার এ তৌসিফ বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ফলেই এই দুর্ঘটনা। তদন্ত হচ্ছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে একটি বেসরকারি বাস কলকাতা থেকে বহরমপুর যাচ্ছিল। গাংনাপুরের ঘাটিগাছার কাছে একটি লরিকে ওভারটেক করতে গিয়ে উল্টোদিক থেকে আসা একটি পাথারবোঝাই লরির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বাসটির। ঘটনাস্থলেই মারা যান দু’জন। তন্ময়বাবুকে গুরুতর জখম অবস্থায় রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মারা যান তিনি। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থেকে স্ত্রী ও আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে রানাঘাটে যাচ্ছিলেন নির্মল চক্রবর্তী। দুর্ঘটনার পর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তিনি বলেন, “বাসটা প্রথম থেকেই খুব খারাপ চালাচ্ছিল। আমরা বারবার সাবধান করলেও চালক কথা শোনেনি। এরকমই হওয়ার ছিল।”
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রানাঘাটের মহকুমাশাসক সুপর্ণকুমার রায়চৌধুরী এবং রানাঘাটের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক অলোককুমার দাস। অলোকবাবু বলেন, “ওই এলাকায় জাতীয় সড়কের অবস্থা ভাল নয়। এ ব্যপারে প্রশাসনের কোনও উদ্যোগও নেই। রাস্তার খন্দগুলো সারানোর ব্যবস্থা করা গেলেও দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।”
সুপর্ণবাবু বলেন, “রেষারেষির ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর রাস্তা সারানোর বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।” |