টুকরো খবর
কর্মীর মৃত্যু, খুনের নালিশ সিপিএমের
কংগ্রেসের বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে দলীয় কর্মীর মৃত্যুতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করল সিপিএম। পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাম আজিজুল রহমান (৪২)। সুতি থানার লক্ষীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের পর কংগ্রেস সমর্থকরা বিজয় মিছিল বার করে শনিবার। মিছিলটি খাঁপুর গ্রামে এক সিপিএম সমর্থকের বাড়ির কাছে আসতেই ঝামেলা বাঁধে। পটকা ফাটানোর অভিযোগকে ঘিরে আজিজুলের সঙ্গে বচসা বাধে মিছিলের লোকজনের। হঠাৎই মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের ভাই করিম শেখের অবশ্য অভিযোগ, “কংগ্রেস সমর্থকদের মারধরের ফলেই দাদার মৃত্যু হয়েছে।” পুলিশের অবশ্য বক্তব্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রমাণ মিলেছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ জঙ্গিপুরে, জখম ১৪
এক অভিযুক্তকে গ্রেফতারের ঘটনায় জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে ৬ পুলিশকর্মী সহ ১৪ জন জখম হয়েছেন। আহতদের জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার রাতে পুলিশ এক আসামীকে ধরতে জঙ্গিপুর শহরের গফুরপুর বরজ এলাকায় যায়। মুকুল শেখ নামে ওই ব্যক্তিকে ধরতেই শুরু হয় গোলমাল। ধৃতের পরিবারের বক্তব্য, মুকুল শেখ নামে অন্য এক অভিযুক্তকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশ একই নামে তাঁদের লোককে গ্রেফতার করে। ধৃতের ছেলে বিএসএফ জওয়ান ইয়াকুব শেখের নেতৃত্বে এলাকার লোকজন পুলিশের উপর চড়াও হয়। পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ করে। তাতে জখম ইয়াকুব শেখ বলেন, “অভিযুক্ত ও আমার বাবার নাম একই। পুলিশ তাকে না পেয়ে বাবাকে ধরে। এ কথা বলতে গেলে পুলিশ মারধর শুরু করে। তছনছ করে বাড়িঘরও। ছিনিয়ে নেয় এক মহিলার হারও।” জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “পুলিশ ঠিক অভিযুক্তকেই ধরেছে। তবুও এ ব্যাপারে অভিযোগ হলে তা খতিয়ে দেখা হবে। পুলিশের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগে ধৃতের ছেলেকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

যুবকের দেহ উদ্ধার
বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের গ্রামে ঢোকার রাস্তার মুখে রবিবার সকালে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃত লালু শেখ (৩৫) খড়গ্রাম থানার চন্দ্রসিংহবাটি গ্রামের বাসিন্দা। মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি, শনিবার রাতে বক্কর শেখ ও খাইরুল শেখ নামে দুই যুবক লালুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ভিন দেশে কাজের সূত্রে ওদের সঙ্গে লালুর পরিচয়। রাতভর নিখোঁজ থাকার পর পরদিন সকালে লালু শেখের গলা কাটা দেহ মেলে । এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। খড়গ্রাম যুব তৃণমূলের সভাপতি কাজী রবিউল ইসলাম বলেন, “মৃত লালু শেখ আমাদের কর্মী ছিলেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁকে খুন করেছে কংগ্রেস।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে খড়গ্রামের বিধায়ক কংগ্রেসের আশিস মার্জিত বলেন, “এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। অভিযুক্তরা আমাদের দলের লোক নয়।’’ জেলার পুলিশের সুপার হুমায়ুন কবীরও ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।

ছয় আসামির যাবজ্জীবন
পুনর্বিচারের রায়ে শনিবার খুনের অভিযোগে খালাসপ্রাপ্ত ৬ জনের সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন জঙ্গিপুর আদালতের অতিরিক্ত দ্বিতীয় জেলা ও সেশন জজ আশিসকুমার দাস। সুতির ইসলামপুরের সাজাপ্রাপ্তরা হল রসুল শেখ, আখতার সেখ, ফিরোজ শেখ, রসিদ শেখ, মেহেরুল শেখ ও এহসান শেখ। প্রতিবেশী যুবক সফিকুল শেখকে ২০০৩ সালের ১৪ মে খুন করে তাঁরা। অভিযুক্তরা ২০০৯ সালে বেকসুর খালাস পেলে সফিকুলের বাবা হাইকোর্টে আবেদন করেন। পুনর্বিচারের জন্য হাইকোর্ট জঙ্গিপুর আদালতকে নির্দেশ দেয়।

রহস্য-মৃত্যু যুবকের
রহস্যজনক মৃত্যু হল এক যুবকের। কৃষ্ণগঞ্জের কাদাঘাটা এলাকার ওই ঘটনায় মৃতের নাম বিভাস বিশ্বাস (২২)। পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে প্রতিবেশী এক তরুণীর বাড়ির জানালায় গলায় বেল্ট দিয়ে ওই যুবককে ঝুলতে দেখা যায়। তাঁকে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই তরুণী-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। জেলা পুলিশ কর্তা জানান, ধৃত তরুণীর সঙ্গে ওই যুবকের সর্ম্পকের জেরে এমন ঘটনা ঘটল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.