টুকরো খবর
বিডিওকে মারধরে ধরা পড়ল দু’জন
পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে বিডিওকে মারধর ও পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় শনিবার দুই সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম উত্তর খাড় গ্রামের অসীম গোস্বামী, ও মধ্য খাড় গ্রামের বাপি পাহাড়ী। অসীমবাবু সিপিএমের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন এবিপিটিএ’এর পটাশপুর দক্ষিণ চক্রের সম্পাদক। রবিবার ধৃতদের কাঁথি এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতের আদেশ দেন। শনিবার পটাশপুর ২ ব্লকের খাড় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যান পটাশপুর ২ ব্লকের বিডিও ত্রিদিব সর। সেই সময় তাঁকে মারধরের অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার জেরে খাড় পঞ্চতায়েতে বোর্ড গঠন স্থগিত রয়েছে। সিপিএমের প্রতাপদিঘি জোনাল কমিটির সম্পাদক কালীপদ দাস মহাপাত্রের অভিযোগ, “অসীমবাবু ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। বরং তিনিই তৃণমূলের হাতে প্রহৃত হন। পরিকল্পনামাফিক তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃণালকান্তি দাস বলেন, “দু’টি পৃথক ঘটনায় প্রশাসনই অভিযোগ দায়ের করেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।” প্রসঙ্গত, খাড় পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হওয়ায় বোর্ড গঠন নিয়ে সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে টানাপোড়েন ছিলই। শনিবার সকালে সিপিএম অভিযোগ করে, ওই পঞ্চায়েতের বামফ্রন্ট সমর্থিত জয়ী নির্দল সদস্যকে তৃণমূল অপহরণ করেছে। এমনকী সিপিএমের জয়ী সদস্যদের পঞ্চায়েতে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিপিএম পথ অবরোধ করে। অভিযোগ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিডিও ঘটনাস্থলে গেলে তিনি সিপিএম কর্মীদের হাতে প্রহৃত হন।

পুরনো খবর:
বৌমার হাতে কোপ, ভাসুর আত্মঘাতী
ভাইয়ের স্ত্রীর হাতে কাটারির কোপ মেরে আত্মঘাতী হলেন ভাসুর। মৃতের নাম বিমল জানা (৫৫)। শনিবার দাসপুর থানার কেশবচক গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। কাটারির কোপে আহত বৌমা অপর্ণা জানাকে প্রথমে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতেই তাঁকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে বিমলবাবুর ভাইয়ের স্ত্রী অপর্ণা জানা বাড়িতে কাজ করছিলেন। আচমকাই বিমলবাবু কাটারি নিয়ে অপর্ণা দেবীর ডান হাতের কোপ মারেন। রক্তাত্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান তিনি। ওই ঘটনার খবর এলাকায় চাউর হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা এসে জড়ো হন। তারা বিমলবাবুকে ঘিরে মারধর শুরু করলে তিনি ছুটে বেরিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। তখন প্রতিবেশীরা তাঁকে দরজা খুলতে অনুরোধ করেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে বিমলবাবুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।

নাবালিকা ধর্ষণে দশ বছর জেল যুবকের
নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে দশ বছরের জেল হল এক যুবকের। শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক কৌশিক ভট্টাচার্য তমলুক থানার বাড়কোদা গ্রামের যুবক শেখ আলি হোসেনকে ওই কারাদণ্ডের আদেশ দেন। জেলা আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৫ সালের ১৫ জানুয়ারি তমলুক শহর লাগোয়া বাড়খোদা গ্রামের বাসিন্দা পনেরো বছরের এক কিশোরী বাড়ি থেকে একটু বাইরো বেরোয়। বাড়ি ফেরার পথে শেখ আলি হোসেন নামে এক প্রতিবেশী যুবক তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তমলুক থানায় ঘটনার অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করে। বিচারে ওই যুবকের দোষ প্রমাণিত হলে বিচারক অভিযুক্তকে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।

লরির ধাক্কায় মৃত্যু
লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক কিশোরের। রবিবার সকালে ঝাড়গ্রাম শহরের রঘুনাথপুর এলাকায় মেন রোডে ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম সিদ্ধার্থ বিশ্বাস (১৬)। সিদ্ধার্থের বাড়ি শহরের নৃপেনপল্লি এলাকায়। এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ রঘুনাথপুরের রাখি-বন্ধন ময়দানের কাছে মেন রোডে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। ওই সময় একটি লরি পিছন দিক থেকে তাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিদ্ধার্থকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সকাল ৮টা নাগাদ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। লরিটির হদিশ মেলে নি।

তরুণীর অপমৃত্যু
রবিবার ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবায় এক তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। মৃতার নাম সুমিতা কালিন্দি (১৯)। এ দিন সকালে নিজের বাড়ির একটি ঘরের কড়িকাঠে সুমিতাকে ঝুলন্ত অবস্থায় ছটপট করতে দেখেন তাঁর পরিজনেরা। সঙ্গে সঙ্গে সুমিতাকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্‌সকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। বেশ কিছুদিন ধরে সুমিতা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। পুলিশের অনুমান, অবসাদ জনিত কারণে সুমিতা আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বাজ পড়ে মৃত্যু
জমিতে চাষের কাজ করার সময় বাজ পড়ে এক বধূর মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন তিন মহিলা। রবিবার দুপুরে বেলপাহাড়ির কেচন্দা গ্রামের ঘটনা। মৃতার নাম রিনা পাল (২৪)। এ দিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ কেচন্দা গ্রামের মাঠে চাষের কাজ করছিলেন রিনাদেবী-সহ কয়েক জন মহিলা। আচমকা বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই রিনাদেবীর মৃত্যু হয়। জখম হন আরও তিন জন মহিলা। আহতদের মধ্যে দু’জন বেলপাহাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিত্‌সাধীন। গুরুতর জখম এক মহিলাকে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

দিঘার হোটেলে উদ্ধার তিন দেহ
একই পরিবারের তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার হল দিঘার একটি হোটেল থেকে। রবিবার সন্ধ্যায় হোটেলের ঘরের দরজা ভেঙে পুলিশ দেহ তিনটি উদ্ধার করে। মৃত রঞ্জিত বায়েনের (৩৪) বাড়ি সাঁকরাইলের জোড়হাটে। তাঁর দেহ ঝুলছিল। তাঁর স্ত্রী পূর্বিতা (৩০) ও ছ’বছরের ছেলের দেহ পড়ে ছিল বিছানায়। পুলিশের অনুমান, স্ত্রী ও ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন রঞ্জিত। সুইসাইট নোট মিললেও তাতে কী লেখা ছিল, জানায়নি পুলিশ। হোটেল সূত্রের খবর, ১৭ অগস্ট বিকেলে হোটেলে ওঠেন ওই দম্পতি। এ দিন ফেরার কথা ছিল। তা সত্ত্বেও তাঁরা না বেরোনোয় হোটেল কর্তৃপক্ষ ডাকাডাকি করেন। সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে তিন জনের দেহ উদ্ধার করে।

প্রীতি ফুটবল
ফুটবল প্রেমী দিবস উপলক্ষে জেলা পরিষদের কর্মচারীদের উদ্যোগে শুক্রবার এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় মেদিনীপুর অরবিন্দ স্টেডিয়ামে। মুখোমুখি হয় জেলা পরিষদের সচিব একাদশ ও জেলা বাস্তুকার একাদশ। ৩-২ গোলের ব্যবধানে জয়ী হয় বাস্তুকার একাদশ।

তার ছিঁড়ে বিপর্যস্ত ট্রেন
বেশ জোরেই হাওড়ার দিকে আসছিল ফলকনুমা এক্সপ্রেস। হাওড়া-খড়্গপুর শাখার মাদপুর স্টেশনের কাছে আচমকাই আলোর ঝলকানি দিয়ে এবং বিকট শব্দ করে ওভারহেড তার ছিঁড়ে পড়ে ওই ট্রেনের একটি কামরার উপরে। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন দাঁড়িয়ে যায়। অনেক যাত্রী ভয় পেয়ে নেমে পড়েন। ঘটনাটি ঘটে রবিবার বিকেল ৫টা নাগাদ। ফলকনুমার পিছনে আসছিল ইস্পাত সহ তিনটি এক্সপ্রেস ট্রেন। সেগুলিও দাঁড়িয়ে যায়। আটকে পড়ে বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেনও। একে তো এই বিভ্রাট। তার উপরে বৃষ্টি চলায় যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ে। মেরামতি শেষ হতে রাত হয়ে যায়। ওই শাখায় সব ট্রেনই দেরিতে চলাচল করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সৌমিত্র মজুমদার জানান, পাঁশকুড়া ও খড়্গপুর থেকে দু’টি টাওয়ার ভ্যান গিয়ে মেরামতি শুরু করে। ওই সময় প্রচুর ট্রেনের চাপ থাকায় আটকে পড়া ট্রেনগুলিকে অন্য লাইন দিয়ে চালাতেও সমস্যা হচ্ছিল। তারই মধ্যে ইস্পাত এক্সপ্রেসকে অন্য লাইন দিয়ে পাঠানো হয়। ওভারহেড তারে বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে মেরামতি চলায় ডিজেল ইঞ্জিনের সাহায্যে ফলকনুমা এক্সপ্রেসকে পাঁশকুড়া পর্যন্ত আনা হয়। সেখানে ফের বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন লাগিয়ে ট্রেনটিকে আনা হয় হাওড়ায়।

দেহ উদ্ধার
এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম তাপস মণ্ডল (২২)। বাড়ি কোলাঘাট থানার শান্তিপুর গ্রামে। রবিবার সকালে বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তাপস মহারাষ্ট্রের পুণেতে কাজ করত। কিছুদিন আগে বাড়ি ফিরেছিলেন। ওই যুবকের দেহ ময়না তদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.