|
|
|
|
ছাত্রের মায়ের শ্লীলতাহানি, মার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
বাড়িতে টিউশন পড়াতে গিয়ে ছাত্রের মাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে দাসপুর থানার আদমপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। বুদ্ধদেব মুদলি নামে ওই ব্যক্তি দাসপুর থানার আদমপুরে একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। তাঁর বাড়ি আদমপুর সংলগ্ন আলিপুর গ্রামে। ওই শিক্ষক আদমপুর গ্রামে বাড়ি গিয়ে এক ছাত্রকে পড়াতেন। অভিযোগ, শনিবার পড়াতে এসে ওই ছাত্রের মাকে তিনি শ্লীলতাহানি করেন। রবিবার ওই ছাত্রের মা দাসপুর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা বুদ্ধদেববাবুকে মারধর করে ফেলে রেখে পালায়। বুদ্ধদেববাবুর স্ত্রী ঘটনাস্থলে গিয়ে থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাঁকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার গুরুতর অবস্থায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। |
 |
হাসপাতালে আহত শিক্ষক।—নিজস্ব চিত্র। |
তবে ঘটনাটিকে পুরোপুরি পরিকল্পিত বলে থানায় অভিযোগ করেন বুদ্ধদেববাবুর স্ত্রী। লিখিত অভিযোগ না হলেও পুলিশ তাঁর স্ত্রীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে একটি জিডি করে। গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই বুদ্ধদেববাবু টিউশন পড়াচ্ছেন। এই ধরনের কোনও অভিযোগ শোনা যায়নি। পুলিশ সঠিক ভাবে তদন্ত করলেই আসল কারণ জানা যাবে। কেননা, মারধরের সময় শাসক দলের লোকজনই বেশি ছিল।” অন্য দিকে, পুলিশের কাছেও বুদ্ধদেববাবুর স্ত্রী জানান, “আমাকেও মারধর করা হয়। ওই ছাত্রের মাকে জোর করে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। খবর শুনে যখন আমি ওই ছাত্রের বাড়ি গিয়েছিলাম, তখন ওই ছাত্রের মা এধরনের কোনও ঘটনার কথা অস্বীকার করেন। দু’একদিনের মধ্যেই আমরা এবিষয়ে ব্যবস্থা নেব।” সিপিএমের দাসপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক ললিত কুমার শী বলেন, “বুদ্ধদেববাবু আমাদের দলের সমর্থক এবং বামপন্থী শিক্ষক সংগঠনের সদস্য। তাই তৃণমূলের লোকজন মিথ্যা ঘটনায় তাঁকে ফাঁসিয়ে মারধর করেছে।” কিন্তু ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তপন দত্ত বলেন, “বুদ্ধদেববাবু পড়ানোর নাম করে বাড়িতে গিয়ে ওই ছাত্রের মায়ের সঙ্গে বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে শুনেছি। তাই এলাকার লোকজন মারধর করে। ওই ছাত্রের মা থানায় অভিযোগও করেন। ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।” দাসপুর থানার ওসি ননীগোপাল দত্ত বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য
করব না।” |
|
|
 |
|
|