মত সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রীর
মাদ্রাসায় গুরুত্ব দিতে হবে ইংরেজি শিক্ষাতেও
মাদ্রাসায় ইংরেজি শিক্ষার উপরও গুরুত্ব দিতে হবে। না-হলে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সংখ্যালঘু ছেলেমেয়েরা পিছিয়ে পড়বে। এমনই মত সংখ্যালঘু দফতরের প্রতিমন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লার। তাঁর কথায়, “বাম জমানার ৩৪ বছরে সংখ্যালঘু সমাজ সবথেকে বেশি বঞ্চিত হয়েছে। রাজ্যে পালাবদলের পর পরিস্থিতি বদলেছে। আমাদের সরকার সংখ্যালঘুদের উপরে তোলার চেষ্টা করছে। মাদ্রাসাগুলোর হাল ফেরানোর কাজ শুরু হয়েছে।” তিনি বলেন, “সংখ্যালঘুরা যাতে মাথা উঁচু করে চলতে পারে, সরকার তার সব রকম চেষ্টা করছে। ইংরেজি শিখতে হবে। যাতে চাকরির দিক থেকে পিছিয়ে না-পড়তে হয়। এর জন্য আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ইংরেজি সিলেবাসে পরিবর্তনও আনা হচ্ছে।”
মেদিনীপুরে হাইমাদ্রাসার নতুন ভবনের উদ্বোধনে মন্ত্রী।—নিজস্ব চিত্র।
মেদিনীপুরের এস এম আই হাইমাদ্রাসার একটি নতুন ভবনের উদ্বোধন করতে রবিবার শহরে আসেন সংখ্যালঘু দফতরের প্রতিমন্ত্রী। মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ এবং সর্বশিক্ষা মিশনের বরাদ্দ অর্থে ভবনটি নির্মিত হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘হজরত গোলাম মোস্তাফা (র:) স্মৃতি ভবন’। এই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে স্কুলের পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যার কথা লিখিত ভাবেই জানান প্রধান শিক্ষক শেখ মেহের বক্স। মন্ত্রীও এই মাদ্রাসার উন্নয়নে ৩-৪ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে তাঁর কথায়, “ঘরে বসে থাকলে হবে না। কী দরকার, বলবেন। কম্পিউটার দরকার হলে বলবেন। কত স্কুলে কম্পিউটার দেওয়া হচ্ছে। রাইটার্সে যাবেন। আমাদের দরজা সব সময় খোলা।” পাশাপাশি, নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস শুরু করারও পরামর্শ দেন তিনি। শিক্ষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষকের সম্পর্ক অভিভাবকদের মতো। সময় মতো স্কুলে আসতে হবে। ছাত্রছাত্রীরা নির্দিষ্ট পোশাক পরে স্কুলে আসবে। আর দশ জন শিক্ষক দশ রকম পোশাক পরবেন, তা হবে কেন? নিয়ম আমার ক্ষেত্রে যা হবে, আপনার ক্ষেত্রেও তাই হবে।” রাজ্যের ৫০টি মাদ্রাসাকে ইতিমধ্যে মডেল মাদ্রাসা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রতি জেলায় দু’টি করে হস্টেল হবে। ইতিমধ্যে ১৭টি হস্টেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে সরকার সব রকম চেষ্টা করছে। তবে একদিনে সব উন্নতি হয় না।” তাঁর আশ্বাস, “এখানেও জায়গা পেলে হস্টেল করে দেবো। যাতে আমার বোনেরা হস্টেলে থেকেই পড়াশোনা করতে পারে।” মেদিনীপুরের বিধায়কও বলেন, “সরকার সব সময় আপনাদের পাশে রয়েছে। মেদিনীপুর শান্তির শহর। সম্প্রীতির শহর। সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে এ জেলাতেও প্রচুর কাজ হয়েছে। আগামী দিনে আরও কাজ হবে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.