|
|
|
|
পঞ্চায়েত দখল নিয়ে গণ্ডগোল নায়ারণগড়ে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আজ, সোমবার পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। তার আগে নারায়ণগড় থানা এলাকার কুণারপুরের নির্দল প্রার্থীকে নিয়ে টানাটানি চলছে সিপিএম ও তৃণমূলে। শনিবার কুনারপুর গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে।
নারায়ণগড় ব্লকে ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে একমাত্র মকরামপুর পঞ্চায়েতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে সিপিএম। ১৫টি আসনের মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয়েছে সিপিএম। বাকি চারটি আসন পেয়েছে তৃণমূল। মকরামপুরের সঙ্গে কুণারপুর পঞ্চায়েতটিও নিজেদের দখলে আসবে বলে সিপিএমের আশা ছিল। কারণ, ১১টি আসন বিশিষ্ট পঞ্চায়েতের ৫টিতে সিপিএম প্রার্থীরা প্রতীকে জয় পেয়েছেন। তৃণমূল পেয়েছে চারটি আসন। এসইউসি ও নির্দল প্রার্থী একটি। সিপিএমের দাবি, জয়ী একমাত্র নির্দল প্রার্থী বাম সমর্থিত। ফলে বোর্ড দখল করতে চলেছে তারাই। তা বুঝে তৃণমূল গণ্ডগোল পাকাচ্ছে। সিপিএমের বেলদা জোনাল কমিটির সম্পাদক ভাস্কর দত্ত বলেন, “জোর করে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত দখলের লক্ষ্যে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়াতেই মারধরের ঘটনা ঘটাল তৃণমূল।” |
|
নারায়ণগড়ে বাড়ি ভাঙচুর।—নিজস্ব চিত্র। |
তৃণমূলের দাবি, নির্দল প্রার্থী কোনও দলেরই নন। নারায়ণগড় ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মিহির চন্দের অভিযোগ, “ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্দল ও এসইউসি আমাদের সমর্থন করছে বুঝতে পেরে কয়েকটি ভাঙা ঘর দেখিয়ে কুত্সা রটানোর চেষ্টা করছে সিপিএম। আমাদের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ বিজয় মিছিল করেছিল। কোনও মারামারির ঘটনা ঘটেনি।” খড়্গপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “এলাকায় সামান্য উত্তেজনা ছিল। যাতে উত্তেজনা না ছড়ায় সে জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।” শুধু এটাই নয়, রবিবারও নারায়ণগড়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এদিন হয়েছে হীরাপাট, পাকুড়সিনি এলাকায়। তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএমের দুষ্কৃতীরাই এদিন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপর আক্রমণ করেছে। মিহিরবাবুর অভিযোগ, “ওই এলাকায় আমাদের সংগঠন দুর্বল। ফলে সিপিএম জয় পেয়েছে। এদিন সকালে একটি চা দোকানে আমাদের কর্মীরা চা খেতে খেতে রাজনীতির আলোচনা করছিলেন। তখনই তাঁদের উপর চড়াও হয় সিপিএমের দুষ্কৃতীরা। পরে স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদ করায় তারা পালিয়ে যায়।” সিপিএমের অবশ্য অভিযোগ, জোর করে গরিব মানুষের চা দোকান বন্ধ করতে গিয়েছিল তৃণমূল। স্থানীয় মানুষের বাধায় সকলে পালিয়ে যায়। ভাস্করবাবু বলেন, “একজন গরিব মানুষের চা দোকান জোর করে বন্ধ করতে যাওয়ায় স্থানীয় মানুষের সঙ্গে ওদের বিবাদ তৈরি হয়। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।” |
|
|
|
|
|