|
|
|
|
পাম্প বিকল, জল সঙ্কট জেল ব্যারাক-আবাসনে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পাম্প বিকল হওয়ায় তীব্র জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের পুলিশ ব্যারাক এবং আবাসনে। সমস্যায় পড়েছেন সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০ জন। পরিস্থিতি দেখে মেদিনীপুর পুরসভার কাছে পানীয় জলের ট্যাঙ্ক চেয়ে আবেদন করেছিলেন জেল কর্তৃপক্ষ। আবেদনে সাড়া দিয়ে পুর-কর্তৃপক্ষ ট্যাঙ্ক পাঠান। ফলে, সমস্যার কিছুটা সমাধান হয়। জেল সূত্রে খবর, পাম্প মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্মীরা মেরামতের কাজ করছেন।
মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের চারটি আবাসন এবং একটি পুলিশ ব্যারাকে জল সরবরাহ হয় ১টি পাম্প থেকেই। আবাসনে থাকেন সংশোধনাগারের কর্মীরা। অন্য দিকে, সংশোধনাগারের আবাসিকদের জন্য পৃথক ২টি পাম্প রয়েছে। আবাসন এবং পুলিশ ব্যারাকে যে পাম্প থেকে জল সরবরাহ হয়, সেটিই শনিবার বিকল হয়ে পড়ে। তারপরই তীব্র জল সঙ্কট শুরু হয়। শুধু তো পানীয় জল নয়, রয়েছে ব্যবহারিক জলের চাহিদাও। পরিস্থিতি দেখে মেদিনীপুর পুরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। পুরসভা থেকে জলের ট্যাঙ্ক পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়। মহকুমাশাসক তথা মেদিনীপুর পুরসভার প্রশাসক অমিতাভ দত্তের নির্দেশে ওই দিন ২টি জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হয় সংশোধনাগার চত্বরে। রবিবার ৪টি ট্যাঙ্ক পাঠানো হয়। এক জেলকর্মীর কথায়, “পুরসভার ট্যাঙ্ক আসার ফলে কিছুটা সুবিধে হয়েছে। পানীয় জলের চাহিদা মিটেছে। তবে, ব্যবহারিক জলের চাহিদা মেটেনি। জেল কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল, দ্রুত পাম্প মেরামতের ব্যবস্থা করা।”
জেলের এক আধিকারিক অবশ্য বলছেন, “দ্রুতই মেরামতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আচমকা পাম্প বিকলে হলে কারও কিছু করার নেই। মেরামত করতে একটু সময় তো লাগবেই।”
অন্য দিকে, মেদিনীপুর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডেও শনিবার একটি পাম্প বিকল হয়ে যায়। ফলে, এই ওয়ার্ডে জল সরবরাহ ব্যাহত হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২টি জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হয়েছিল এলাকায়। রবিবার বিকেলের মধ্যে অবশ্য পাম্প মেরামতের কাজ শেষ হয়েছে। আজ, সোমবার থেকে এলাকায় স্বাভাবিক জল সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলেই পুর-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|