শুধু আমি নই। রবিবার রাতে হয়তো আমার মতোই নিরাশ হয়েছেন গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা। বার্সার জার্সিতে মেসি-নেইমার যুগলবন্দি দেখার জন্যই যারা রবিবার লা লিগায় জেরার্দো মার্টিনোর দলের প্রথম খেলায় চোখ রেখেছিলেন। কিন্তু বার্সেলোনার আক্রমণ ভাগের এই সাড়া ফেলে দেওয়া ব্রাজিলীয়-আর্জেন্তিনীয় জুটি মাঠে সাকুল্যে রইল মোটে সাত মিনিট!
মেসি মাঠে ছিল ৬৯ মিনিট পর্যন্ত। নেইমার খেলল ২৮ মিনিট মতো। আর দু’জনে যে সাত মিনিট মতো মাঠে ছিল, তাতে মেসিকে দু’একটা পাস বাড়ানো ছাড়া সে ভাবে নেইমার চোখে পড়ল কোথায়? উলটে ৭-০ জেতা ম্যাচে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখে বসল কনফেডারেশন কাপে চার গোল করা স্ট্রাইকার। বরং মেসি শুরু থেকেই আগের মতো চনমনে মেজাজে রাজ করল। নতুন মরসুমের শুরুতেই ওর নামের পাশে দু’গোল! |
এক জন তখন গোল করছেন। অন্য জন মাঠে নামার অপেক্ষায়।
বার্সেলোনার হয়ে মরসুমের
প্রথম ম্যাচে
গোল করে মেসি।
কোচ জেরার্দোর পাশে নেইমার, পরিবর্ত হিসাবে
নামতে চলেছেন।
রবিবার ন্যু কাম্পে। ছবি: এএফপি, রয়টার্স |
নেইমার-মেসিকে যেমন দেখার জন্য বসেছিলাম তেমনই ইউরোপে প্রথম বার কোচিং করাতে আসা ওদের কোচ জেরার্দো মার্টিনো কী কী মগজাস্ত্র প্রয়োগ করে, সেটাও দেখার ইচ্ছে ছিল! যা দেখলাম তাতে মার্টিনোকে চতুর কোচেদের দলেই রাখব। এমনিতেই লেভান্তে ছোট দল। সেই দলের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই নেইমার-মেসিকে নামিয়ে ফালতু হাততালি পাওয়ার রাস্তায় যায়নি বার্সার নতুন কোচ। নেইমারের সঙ্গেই রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছিল ইনিয়েস্তাকে। ছ’গোল হয়ে যাওয়ার পর দু’জনকেই নামিয়ে এক বার দেখে নিল।
আর নেইমার নামতেই লেভান্তে রক্ষণ থেকে এমন ট্যাকল ধেঁয়ে এল যা দেখে আরও একবার তারিফ করতে হবে মার্টিনোর। মনে হচ্ছে নেইমারকে আস্তে আস্তে ও ইউরোপের টাফ ফুটবলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় দেবে।
মার্টিনো ভালই জানে মারাদোনার মতো ফুটবলারও ইউরোপের শারীরিক ফুটবলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশ সমস্যায় পড়েছিল। আমার মতে, ব্রাজিলীয় জার্সির মতো বার্সার জার্সি গায়ে ঝলমল করতে গেলে নেইমারের আরও সময় দরকার। মেসির পাশে মানিয়ে নিতে গেলে আরও কিছুটা সময় দিতে হবে ওকে। তবে সেটা হয়ে গেলে কিন্তু মেসি-নেইমার যুগলবন্দি অনেক কোচেরই ঘুম ছুটিয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। |