আত্মহত্যার চেষ্টা বধূর, ধৃত স্বামী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দননগর |
শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছেন এক গৃহবধূ, এই অভিযোগে স্বামী-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করল চন্দননগর থানার পুলিশ। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে চন্দননগরের কাটাপুকুর মসজিদ গলিতে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রুবিনা জিয়া নামে ওই বধূ চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর দেড়েক আগে চন্দননগরের বাসিন্দা আসগার আলির সাথে রানিগঞ্জের পীরতলার বাসিন্দা রুবিনার বিয়ে হয়। তাদের ছোট একটি মেয়ে আছে। আসগার গোন্দলপাড়া জুটমিলের কর্মী। রুবিনার বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, বিয়ের সময় প্রচুর পণ নেন আসগর। পরে আরও পণের দাবিতে রুবিনার উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তাঁকে বাড়ির বাইরে বেরোতেও দেওয়া হত না। |
বিক্ষোভ পড়শিদের। —নিজস্ব চিত্র। |
রুবিনার বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি, রবিবার দুপুরে রান্নাঘরে স্টোভ থেকে কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেন ওই রুবিনা। তাঁর আর্তনাদে পরিবারের লোকেরা স্থানীয় বাসিন্দাদের ডাকেন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে চুঁচুড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ওই বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। দোষীদের গ্রেফতারের দাবী ওঠে। চন্দননগর থানার ওসি কিশোর সিংহ চৌধুরি বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি সামাল দেন। তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, ওই গৃহবধু পুলিশের কাছে জানিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই তিনি আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে রানিগঞ্জ থেকে ছুটে আসেন গৃহবধুর কাকা ইব্রারুল হক। তিনি চন্দননগর থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ রুবিনার স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি, দেওর ও দুই ননদকে গ্রেফতার করে।
|