আস্ত একটি বাড়ি যাতে ইচ্ছে মতো অন্যত্র নিয়ে যাওয়া যায়, এ বার দমকল কেন্দ্র হতে চলেছে সেই ধাঁচে। অগ্নি-নির্বাপণ দফতর সূত্রে খবর, ইট, পাথরের ঢালাই করা বাড়ির বদলে দমকল কেন্দ্র হতে চলেছে ‘প্রি ফেব্রিকেটেড’ পলিমারের দেওয়াল দিয়ে। প্রাথমিক ভাবে বারুইপুর ও ব্যারাকপুরে দোতলা দমকল কেন্দ্র এই পদ্ধতিতে তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রতি দমকলমন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান এই খবর জানিয়ে বলেন, “সিমেন্ট-ইটের ঘর তৈরির খরচের তুলনায় প্রিফেব্রিকেটেড বাড়ি তৈরির খরচ ৩০ শতাংশ কম। এই পদ্ধতিতে বাড়ি তৈরির কাজ তিন মাসেই সম্পন্ন করা সম্ভব। যেখানে কংক্রিটের ঘর তৈরি করতে সময় লাগে দেড় থেকে তিন বছর। প্রয়োজনে এই ধরনের বাড়ি খুলে ফেলে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়াও সম্ভব। এবং এই ধরনের বাড়ির আয়ুও অনেক বেশি।” দেশের কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যে সরকারি বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে দমকল দফতরের কর্তাদের দাবি।
প্রিফেব্রিকেটেড পদ্ধতি অনুযায়ী, বাড়ির ভিত তৈরি হবে স্টিলের ফ্রেম দিয়ে। কংক্রিট পদ্ধতিতে যেখানে ঢালাই করে বাড়ির কলাম তৈরি করতে হয়, সেখানে এই পদ্ধতিতে খাঁচাও তৈরি হবে স্টিল ফ্রেম দিয়ে। ইটের দেওয়ালের পরিবর্তে কারখানায় তৈরি পলিমার শিট নিয়ে গিয়ে দু’টি পলিমার শিটের মাঝে কাঠ বা পলিমারের মোটা শিট ব্যবহার করে দেওয়াল তৈরি করা হবে। দমকল দফতরের কর্তাদের দাবি, ওই দেওয়ালও হবে ইটের দেওয়ালের মতোই মজবুত।
দমকলমন্ত্রী জানান, পাইলট প্রকল্প হিসেবে আপাতত বারুইপুর ও ব্যারাকপুরে একটি করে দু’টি দোতলা দমকলকেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে চলতি বছরে এই পদ্ধতিতে আরও ২০টি দমকলকেন্দ্র তৈরির বিষয়টি নিয়ে দফতর ভাবনা চিন্তা করছে। মহাকরণ সূত্রের খবর, শুধু দমকল দফতরই নয়, স্বাস্থ্য দফতরও এই পদ্ধতিতে বেশ কিছু হাসপাতাল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
|