পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে টাকার লোভ দেখিয়ে কিংবা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জয়ী সদস্যদের ভাঙিয়ে নেওয়ার অভিযোগ প্রায়ই উঠতে দেখা যায়। রাজনৈতিক দলগুলিকে এ নিয়ে নিত্য একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে। এ বার ওই অভিযোগ তুলে পরস্পরের বিরুদ্ধে কোন্দলে নামল তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠী। নানুরের থুপসড়া পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে ঘিরে এমনই দৃশ্য ধরা পড়ল। |
রবিবার তৃণমূলের কাজল শেখ-গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ তুলেছেন দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল-গোষ্ঠীর অনুগামীরা। এ দিন ভোটাভুটিতে অনুব্রত অনুগামী আব্দুল কেরিম খানের গোষ্ঠীর হাত থেকে নানুরের বহুচর্চিত থুপসড়া পঞ্চায়েতটি ছিনিয়ে নিল কাজল শেখ-গোষ্ঠী। উভয় পক্ষই ওই পঞ্চায়েতে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রার্থী খাড়া করেছিল। পঞ্চায়েতের ২১টি আসনের মধ্যে তিনটিতে কাজল-গোষ্ঠী ও দু’টিতে কেরিম-গোষ্ঠী আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছিল। ভোটের পরে মোট ফল দাঁড়ায় ৭-৯। কাজল-গোষ্ঠীর ৭ জন এবং কেরিম-গোষ্ঠীর ৯ জন প্রার্থী জয়ী হয়। এ দিন বোর্ড গঠনের ভোটে কেরিম-গোষ্ঠীর এক জয়ী সদস্য প্রধান পদে কাজল-গোষ্ঠীর প্রাথীর্কে সমর্থন করেছেন। নির্দলেরই টিকিটে জেতা কাজল-গোষ্ঠীর বুদ্ধদেব মেটে প্রধান নির্বাচিত হন। উপপ্রধান হন আর এক নির্দল সদস্য শেখ হাসিব। আব্দুল কেরিম খানের অভিযোগ, “উপপ্রধানের পদ দেওয়ার পাশাপাশি মোটা টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের পক্ষে থাকা হাসিবকে ওরা ভাঙিয়ে নিয়েছে।” হাসিব অবশ্য সেই অভিযোগ মানেননি। তাঁর দাবি, “উন্নয়নের স্বার্থেই আমি বুদ্ধদেব মেটেকে প্রধান পদে সমর্থন জানিয়েছি।” তবে কাজল-গোষ্ঠীর নেতা নানুর ব্লক কার্যকরী সভাপতি অশোক ঘোষ বলেন, “গোষ্ঠী-দ্বন্দ্ব কিংবা টাকাপয়সার কোনও ব্যাপার নেই। আসলে যাঁর যাঁকে ভাল লেগেছে, তিনি তাঁকেই সমর্থন করেছেন।” |