প্রতারণার অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। শুক্রবার গভীর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্তোষপুর থেকে তাকে ধরা হয়। শনিবার দুর্গাপুরে আনা হয়েছে তাকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সুস্মিতা মজুমদার। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই প্রতারণার সঙ্গে আর কারা যুক্ত, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জুন মাসের প্রথম দিকে বেনাচিতির ভিড়িঙ্গি মোড়ের ব্যবসায়ী মনোজ অগ্রবালের কাছে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার নাম করে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র ও ১০ হাজার টাকার চেক নিয়ে যান পবন বনশল নামে এক ব্যক্তি। ওই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মনোজবাবু দেখেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা গায়েব। ১৪ জুন তিনি দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সুস্মিতা মজুমদার নামে এক মহিলা ওই টাকা তুলেছে। ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কেরই ব্যারাকপুর শাখা থেকে টাকা তোলা হয়েছে। তারপরে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। বেশ কয়েকজন কর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। খতিয়ে দেখা হয় ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় সুস্মিতার জমা দেওয়া নথি। এরপরে খোঁজ মেলে সুস্মিতার। শুক্রবার গভীর রাতে সাদা পোশাকের পুলিশ তাকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্তোষপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই মহিলা একাধিক ভুয়ো পরিচয়ে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে রেখেছেন। তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারণা, এই ধরণের প্রতারণার ঘটনা আগেও ঘটিয়েছেন ওই মহিলা। তবে তিনি একা নন, একটি চক্র এই কাজে জড়িত বলে পুলিশের অনুমান। পুলিশ জানায়, পবন বনশল পরিচয় দিয়ে যে ব্যক্তি ওই ব্যবসায়ীর কাছে ১০ হাজার টাকার চেক নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি তা তুলে দেন সুস্মিতার হাতে। এরপরে জালিয়াতি করে ১০ হাজারের জায়গায় ৬ লক্ষ লিখে ব্যাঙ্ক থেকে সেই পরিমাণ টাকা তুলে নেওয়া হয়।
সুস্মিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পবন বনশলের হদিস পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। তাকে হাতে পেলে দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করারও পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই চক্রের বাকিরা কে কোথায় থাকে, কতদিন ধরে চক্রটি কাজ করছে, আগে এই ধরণের প্রতারণার ঘটনা তারা কতগুলি ঘটিয়েছে জেরায় সে সব তথ্যও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। |