|
|
|
|
কংগ্রেস-বধে বিতর্ক ভুলে এক হতে নির্দেশ মোদীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সব মতভেদ ও বিতর্ককে দূরে সরিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণে নামার জন্য দলীয় মুখপাত্র ও কর্মীদের পরামর্শ দিলেন নরেন্দ্র মোদী।
দু’দিন আগে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে মোদীর বক্তব্য ঘিরে বিজেপির অন্দরেই মতভেদ তৈরি হয়েছিল। তার পরেই আজ দিল্লিতে জাতীয় মিডিয়া ওয়ার্কশপে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী স্পষ্ট বলে দেন, “দলের একটাই লক্ষ্য। তা হল কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করা। আর তা করতে হলে আমাদের সমস্ত বিভেদ ভুলে এক জোট হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।” একই সঙ্গে মোদী আজ ফের বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা নিয়ে যত বিতর্কই থাক, আগামী নির্বাচনে দলের প্রচার অভিযানের প্রধান মুখই তিনি।
আজ দলের মুখপাত্র এবং কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের পর আগামিকাল দিল্লিতে দেশের সব রাজ্যের সাংগঠনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদী। দলীয় সূত্রের খবর, ইউপিএ সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে আম-জনতার ক্ষোভকে কী ভাবে কাজে লাগিয়ে দিল্লিতে সরকার বদল করা সম্ভব, তা নিয়েই কাল বিস্তারিত ভাবে কথা বলবেন মোদী। এর পর রাতে দলের কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহের সঙ্গেও বৈঠক করবেন মোদী। |
|
বিজেপির জাতীয় মিডিয়া ওয়ার্কশপে মোদী। ছবি: পিটিআই |
দলের কর্মী-সমর্থকদের একটি বড় অংশ মোদীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইলেও কৌশলগত কারণে এখনই তাঁর নাম ঘোষণা করতে চাইছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু বিহার বিজেপি আজই দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সরাসরি দাবি জানিয়েছে যে, অবিলম্বে মোদীর নাম প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হোক। বিষয়টি নিয়ে দলের অন্দরে টানাপোড়েনের মধ্যেও মোদী কিন্তু দলের প্রচার কমিটির প্রধান মুখ থাকার পাশাপাশি ভাবী প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও নিজেকে তুলে ধরতে সক্রিয়। সে কারণেই সম্প্রতি নিজের ভাবমূর্তি প্রশ্নে অনেক বেশি সচেতন হয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। তাই দেশের শিল্পপতি তথা মধ্যবিত্ত সমাজের মধ্যে ‘শিল্পবন্ধু’ ভাবমূর্তি গড়ে ওঠার পর এ বার কৃষক সমাজের কাছেও নিজেকে তুলে ধরার কৌশল নিয়েছেন মোদী। দলের এক নেতার কথায়, “দেশের প্রায় অর্ধেকের বেশি মানুষ কৃষি বা কৃষিজাত শিল্পের সঙ্গে জড়িত। সরকার গড়তে গেলে তাই শহুরে মধ্যবিত্তের পাশাপাশি গ্রামীণ ভারতেরও সমর্থন প্রয়োজন দলের। সেই অঙ্কটাই মাথায় রাখছেন মোদী” সে কারণেই আগামী ৯ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর গুজরাতে এক কৃষি সম্মেলনের আয়োজন করতে চলেছেন মোদী। যেখানে দেশ-বিদেশের একাধিক বড় কৃষি সংক্রান্ত শিল্পের প্রতিনিধিরা ছাড়াও যোগ দেবেন বিভিন্ন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীরা। বিজেপি সূত্রের দাবি, এই সম্মেলনের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের মানুষকে কাছে টানার কৌশল নিয়েছেন মোদী। এ সবের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার-বিরোধী প্রচারের তীব্রতা বাড়াতে হায়দরাবাদের পর এ বার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে বক্তব্য রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদী। সেই লক্ষ্যে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে মীরাটে ও তার পরে রাজস্থানে দলীয় সভায় উপস্থিত থাকার কথা তাঁর। প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ওই রাজ্যে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ার জন্য ইতিমধ্যেই ‘সমর্পণ যাত্রা’ শুরু করেছেন বসুন্ধরা রাজে। দলীয় সূত্রের খবর, ওই যাত্রার শেষ দু’টি জনসভায় বক্তব্য রাখার পরিকল্পনা রয়েছে মোদীর। আজ দিল্লির বৈঠকেও রাজস্থানের প্রসঙ্গ তুলে মোদী বলেন, ‘‘ওখানে মানুষের মধ্যে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের সেটাকে কাজে লাগাতে হবে।”
দলের প্রচার কমিটির প্রধান হিসেবে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দল কী ভাবে আক্রমণ শানাবে, তা নিয়েও নিরন্তর আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন মোদী। সেই লক্ষ্যেই আজ দিল্লির বৈঠকে দলীয় মুখপাত্ররা কী ভাবে সরকারের সমালোচনায় নামবেন, তা নিয়েও তাদের পরামর্শ দেন মোদী। |
পুরনো খবর:
• বক্তৃতা বিতর্কে দলেরই অস্বস্তি বাড়ালেন আডবাণী |
• আজ টেক্কা মনমোহনকে, ঘোষণা মোদীর
|
|
|
|
|
|