|
|
|
|
জাগছে কার্গিলের স্মৃতি, আতঙ্কে গ্রামবাসীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীনগর |
ফিরে এসেছে বহু বছর আগেকার সেই বিভীষিকা। ক্রমাগত গুলিগোলার আওয়াজ ভুলতে বসেছিলেন পুঞ্চ সেক্টরের হামিরপুরের গ্রামবাসীরা। গত কয়েক বছরে পাকিস্তান বহু বার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করলেও তার রেশ এই গ্রামগুলিতে এসে পড়েনি। কিন্তু এ বার ফের স্মৃতিতে টাটকা হয়ে উঠছে কার্গিল যুদ্ধ। পাক বাহিনীর বুলেট, গ্রেনেডের স্প্লিন্টার, মর্টার শেল আবার এসে আছড়ে পড়ছে এই গ্রামে। ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি, চাষের জমি। আর কার্গিলেও তো নতুন করে গুলিগোলা চলেছে বৃহস্পতিবার রাতে। ১৪ বছর পর কার্গিল সেক্টরে এই প্রথম সংঘর্ষবিরতি ভেঙেছে পাক সেনা।
হামিরপুর গ্রামের বাসিন্দা আরিফ মহম্মদ বলছিলেন, “প্রচুর ক্ষতি হয়ে গেল। ক্ষেত-জমি সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্কুল-বাজার বন্ধ। গাড়িঘোড়া চলছে না। ভয়ের চোটে বাচ্চারাও বাড়ির বাইরে যাচ্ছে না।” গ্রামেরই বাসিন্দা নাজির আহমেদের কথায়, “সেই শেষ ২০০১-’০২-এ এই রকম দমবন্ধ পরিস্থিতিতে দিন কাটিয়েছিলাম। তার পর এই সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন যা চলছে তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না।” প্রৌঢ় গুলজার আহমেদের আক্ষেপ, নিজের দেশেই যেন বন্দি রয়েছেন। তাঁর কথায়, “চার পাশে হয় কাঁটাতার, নয় সেনা চৌকি। কোনও দিকেই যাওয়ার উপায় নেই।”
হামিরপুর গ্রাম পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের একদম কাছে। চার পাশে পাক সেনাবাহিনীরই চৌকি। ভারতীয় বাহিনীকে লক্ষ করে হামলা হচ্ছে এই চৌকিগুলো থেকেই। জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনাও। মাঝে হয়তো কিছু ক্ষণ সব চুপচাপ। তার পর ফের শুরু হয় গুলি-পাল্টা গুলি। ভারতীয় সেনার বক্তব্য, গত ১০ দিনে অন্তত ১৮ বার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাক সেনা। এই অবস্থায় গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে প্রাণ বাঁচানো ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা দেখছেন না এই গ্রামের বাসিন্দারা।
আগামী মাসে নিউ ইয়র্কে মুখোমুখি হওয়ার কথা মনমোহন সিংহ ও নওয়াজ শরিফের। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার সম্মেলনে যোগ দিতে সেখানে যাবেন তাঁরা। তার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে কি? উত্তর খুঁজছেন আরিফ মহম্মদ, গুলজার আহমেদরা। |
পুরনো খবর: সীমান্তে সংঘর্ষ, আহত তিন |
|
|
|
|
|