ভারতীয় ফুটবলের আদি তৃতীয় প্রধানের আই লিগে পুনরাবির্ভাব ঘটতেই বাংলার ফুটবলও যেন নতুন প্রাণ ফিরে পেল! আই লিগের মূল পর্বে ফেরত আসা মহমেডান স্পোর্টিংয়ের খেলা দেখতে মানুষের জোয়ার।
প্রিমিয়ার লিগের কোয়ালিফাইং রাউন্ড ম্যাচে যেখানে হাতে গোনা একশো দর্শকও হয় না, সেখানে বুধবার বসিরহাট স্টেডিয়ামে টিকিট কেটে মহমেডান-নিউ বাণী সঙ্ঘের প্রস্তুতি ম্যাচ দেখলেন দশ হাজার সমর্থক!
ম্যাচের শুরু থেকে শেষ বাঁশি পড়া পর্যন্ত দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনার অভাব ছিল না। মহমেডানের তারকা নাইজিরিয়ান মিডিও পেন ওরজি বলছিলেন, “এই ম্যাচ দেখতেও এত দর্শক আসবে, ভাবতেই পারিনি।” দীপেন্দু বিশ্বাসের নিউ বাণী সঙ্ঘকে ৩-০ গোলে হারাল মহমেডান। সাদা-কালো ব্রিগেডের হয়ে একটি করে গোল করলেন ইজরাইল গুরুং, মণিরুল ও চরণ রায়।
নিউ বাণী সঙ্ঘ ফুটবলাররা অবশ্য সহজে লড়াই ছাড়েনি। বসিরহাটের ঘরের ছেলে দীপেন্দুর দু’টো শট পোস্ট ঘেঁসে বেরিয়ে যায়। মহমেডান ক্লাব সূত্রের খবর, শুক্রবারই সাদা-কালো জার্সি পরছেন দীপেন্দু। শনিবার মহমেডান কোচ আব্দুল আজিজ বুলা-র অনুশীলনেও দেখা যাবে তাঁকে।
ভাইচুংয়ের পাশে মর্গ্যান: ভাইচুং ভুটিয়ার সঙ্গে কার্যত একমত প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান। আইএমজি-র নতুন ফিটনেস ট্রেনার মর্গ্যানকে বুধবার মুম্বইয়ে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, “আইএমজি লিগের জন্য আই লিগের কোনও ক্ষতি হবে না। এ ধরনের লিগ ভারতীয় ফুটবলকে অন্য মাত্রায় তুলে নিয়ে যাবে। আই লিগের সঙ্গে সংঘাত হওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। সল্টলেক স্টেডিয়ামে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ হলে কম করে আশি হাজার সমর্থক হবে না, এ রকম দিন কখনও আসবে না ভারতীয় ফুটবলে।” মাত্র এক মাসের চুক্তিতে আইএমজি-রিলায়্যান্স লিগে ফিটনেস ট্রেনার হয়ে এসেছেন মর্গ্যান। তবে শোনা যাচ্ছে, নতুন লিগের যে কোনও একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দলে কোচ-ও হতে পারেন তিনি। যদিও লাল-হলুদের প্রাক্তন ব্রিটিশ কোচ চুক্তি পাকা না হওয়া পর্যন্ত মুখ খুলতে চাইছেন না।
|