বগুলায় কলেজ ছাত্রী খুনের বারো দিন পরও পুলিশ ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তদন্তও এগোচ্ছে শম্বুক গতিতে। ওই ঘটনায় জখম স্থানীয় সিপিএম নেত্রী আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ তাকিয়ে রয়েছে তাঁর শারীরিক অবস্থার দিকে। জেলা পুলিশের বক্তব্য, ওই মহিলার সুস্থ হলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই দোষীদের নাম-পরিচয় জানা যাবে। জেলার পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমন মিশ্র বলেন, “খুনের কারণ এখনও অস্পষ্ট। জখম মহিলাও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত।” জখম মহিলার দিকে তাকিয়ে থাকা বাদে পুলিশ এখনও পর্যন্ত খুনের কোনও কুলকিনারা করতে পারল না কেন? এ প্রশ্নের কোনও সদুত্তর মেলেনি পুলিশ সুপারের কাছ থেকে। পুলিশের এই ‘নিষ্ক্রিয়তার’ প্রতিবাদে মঙ্গলবার হাঁসখালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই-এর কর্মী-সমর্থকরা। বিক্ষোভকারীরা ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের দাবি তোলেন। স্থানীয় এক কলেজের কর্মী জখম ওই সিপিএম নেত্রী বাড়িতে একাই থাকতেন। রাতে তাঁর সঙ্গে থাকতেন পড়শি নিহত ওই ছাত্রী। ১ অগস্ট সকালে প্রতিবেশীরা ওই ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেন। জখম ওই মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। |
এক মহিলাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁরই খুড়তুতো দেউরের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে কৃষ্ণনগরের আন্দুলপোতা গ্রামের ওই ঘটনায় নিহতের নাম ভগবতী মণ্ডল (৪০)। খুড়তুতো দেউর শ্রীদাম মণ্ডলের বিয়ে ঠিক হয়েছিল দিনকয়েক আগে। পরে তা ভেস্তে যায়। শ্রীদামের সন্দেহ হয়, বৌদির কারসাজিতেই বিয়ে ভেঙে গিয়েছে। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে এ দিন সকালে বাড়ির সামনে বচসা বাঁধে। কথা কাটাকাটির মাঝে আচমকা শ্রীদাম তার বৌদি ভগবতীদেবীকে কোপাতে থাকে। জখম ওই মহিলাকে আসাননগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে জানান। কৃষ্ণনগরের আইসি অলোকরঞ্জন মুন্সি বলেন, “নিজের বিয়ে ভেস্তে যাওয়ার জন্য অভিযুক্ত শ্রীদাম তার বৌদিকে সন্দেহ করত। তা নিয়ে বচসার জেরেই খুন। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত বেপাত্তা।”
|
জমি নিয়ে বিবাদের শুরু। পরে তা রাজনীতির রং নেয়। আসলে স্থানীয় দোগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত এ বার কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছে। ছিনিয়ে নিয়েছে সিপিএম। এ নিয়ে ফল বেরেনোর পর থেকেই উভয় দলের মধ্যে একটা চাপা উত্তেজনা ছিলই। জমি বিবাদ তাতে ঘৃতাহুতি দিলে সংঘর্ষ বাঁধে দু’দলের মধ্যে। ঈদের রাত থেকেই সমশেরগঞ্জের নওপাড়া গ্রামে দু’দলের সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। তিন দিন ধরে চলতে থাকা ওই মারামারিতে কয়েকশো বোমা পড়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। জখম হয়েছেন অন্তত ১১ জন। ২টি দোকান সহ ৫টি বাড়িতে লুটপাট হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দু’দলেরই ১৩ জন সমর্থককে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় বসেছে পুলিশ পিকেট। পুলিশি ধড়পাকড়ের ভয়ে এখনও গোটা গ্রাম পুরুষশূন্য।
|
যাত্রীবাহী একটি বেসরকারি বাসের ধাক্কায় মোটরবাইকের দুই আরোহীর মৃত্যু হল ঘটনাস্থলেই। মৃতদের নাম তাহিদুল ইসলাম (২৮) ও সেলিম শেখ (৩০)। বাড়ি ইসালামপুর থানার নলবাটা গ্রামে। ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও এক ব্যক্তি। গুরুতর তাঁকে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে বহরমপুর-ইসলামপুর রাজ্য সড়কের থেকে বাইকে চেপে ওই দু’জন বহরমপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। উল্টো দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী একটি বেসরকারি বাসের ধাক্কা ফলেই এই দুর্ঘটনা। বাসটি আটক করা হলেও চালক পলাতক।
|
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক নাবালিকার। মঙ্গলবার সকালে জলঙ্গির ঘোড়ামারার এই ঘটনায় মৃতের নাম শাকিলা খাতুন (১৫)। সে স্থানীয় লক্ষ্মীনারায়ণ হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। মেয়েটির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে মেয়েটি গায়ে আগুন লাগায়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে জলঙ্গির সাদিখারদেয়াড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা মৃত বলে জানান। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
|